মোদির সভা থেকে ফেরার পথে বাসে আগুন আতঙ্ক! হুড়োহুড়ি বিজেপি কর্মীদের মধ্যে
প্রতিদিন | ১৯ জুলাই ২০২৫
অর্ক দে, বর্ধমান: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দুর্গাপুরের সভা থেকে ফেরার পথে বিজেপি কর্মীদের বাসে আগুন! চলন্ত অবস্থায় বাসের ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তড়িঘড়ি বাসটিকে থামিয়ে দেওয়া হয় বর্ধমানের তেলিপুকুরের কাছে জাতীয় সড়কের ধারে। তবে শুক্রবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় কেউই হতাহত হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
যাত্রীরা সকলেই পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষ থানার বাসিন্দা। বাসের চালক তেলিপুকুরের ইডেন ক্যানেল এলাকায় বাসটি দাঁড় করিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেন। জানা গিয়েছে, বাসের ব্যাটারির তার থেকে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন ধরে যায়। বাসের যাত্রীরা ধোঁয়া দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পরেন। পরে যান্ত্রিক ত্রুটি সরিয়ে ওই বসেই যাত্রীদের নিয়ে খন্ডঘোষে পৌঁছয়।
শুক্রবার দুর্গাপুরে জোড়া সভা করেন নরেন্দ্র মোদি। প্রথম সভাটি ছিল প্রশাসনিক। সেখান থেকে ৫ হাজার চারশো কোটি টাকা ব্যয়ে সাতটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী উরজা গঙ্গা প্রকল্পের আওতায় দুর্গাপুর-কলকাতা ১৩২ কিলোমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার জন্য ১৯৫০ কোটি ব্যয়ে ভারত পেট্রোলিয়ামের সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন প্রকল্প। এছাড়াও ১৫৪৭ কোটি ব্যয়ে রঘুনাথপুর-মেজিয়া DVC তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দূষণ নিয়ন্ত্রন প্রকল্পের শিলান্যাস। এছাড়াও রেল ও সড়কপথের বেশ কিছু প্রকল্পের উন্নয়ন ও শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির দাবি, এই সব প্রকল্প বাংলায় উন্নয়নের নয়া দিগন্ত খুলবে।
প্রশাসনিক সভা থেকে এই এসব প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করে মোদি বলেন, “ভারতের উন্নয়নে দুর্গাপুরের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। দুর্গাপুর দেশের শ্রমশক্তির বড় উৎস। বিশ্বজুড়ে বিকশিত ভারত নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ৪ কোটি মানুষ পাকা ঘর পেয়েছেন। অন্ডাল বিমানবন্দরকে উড়ান প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এক দেশ এক গ্যাস প্রকল্পের সূফল পাচ্ছে বাংলা। বাংলায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ ঘরে সস্তায় রান্নার গ্যাস পৌঁছেছে। বাংলায় দ্রুত রেল প্রকল্পের উন্নয়ন হচ্ছে। আরও দু’টি রেল ওভারব্রিজ পাবে বাংলা। দ্রুত বিস্তার হচ্ছে কলকাতা মেট্রোর।” এত কিছুর মধ্যেও ইস্পাত নগরী দুর্গাপুরে বন্ধ হয়ে থাকা রাষ্ট্রয়ত্ত্ব কারখানাগুলি খোলার ব্যাপারে কোনও বার্তা দিতে শোনা যায়নি প্রধানমন্ত্রীকে। যা যুব সমাজের কাছে কিছুটা হতাশার বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। এদিকে রাজনৈতিক সভা থেকে তৃণমূলকে নিশানা করেন মোদি। অভয়া থেকে কসবা, শিক্ষক দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করেন তিনি। যদিও বিজেপিকে পালটা দিয়েছে তৃণমূল।