• বাঙালি নাকি বাংলাদেশি? তরজার মাঝে মোদি বুঝিয়ে দিলেন ‘বিতাড়ন’ চলবেই
    প্রতিদিন | ১৯ জুলাই ২০২৫
  • সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলা ভাষায় কথা বলে ভিনরাজ্যে হেনস্তার শিকার বহু বাঙালি। তা নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পথে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। তবে তার মাঝে বাংলায় দাঁড়িয়ে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কড়া বার্তা নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi in Durgapur)।

    শুক্রবার দুর্গাপুরে দলীয় জনসভার মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূল নিজের স্বার্থে বাংলার সম্মানকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে ফন্দি এঁটেছে। অনুপ্রবেশকারীদের দেশে কোনও জায়গা নেই। যে ভারতের নাগরিক নয়, বেআইনি অনুপ্রবেশ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সংবিধান মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা মোদির গ্যারান্টি।” যদিও এদিনের সভামঞ্চ থেকে ক্রমাগত বাঙালি অস্মিতায় শান দিয়েছেন মোদি। তিনি নিজেই দাবি করেছেন, বাঙালি অস্মিতারক্ষাই বিজেপির প্রথম লক্ষ্য। বাংলা ভাষাকে গুরুত্ব দেন বলে ধ্রুপদী ভাষার সম্মান দিয়েছেন বলেই দাবি তাঁর। এছাড়া বক্তৃতার শুরু থেকেই বাংলায় কথা বলেছেন তিনি। দুর্গা, কালীর নামজপে নিজেকে আদ্যোপান্ত ‘বাঙালি’ প্রমাণের যেন মরিয়া চেষ্টা করে গিয়েছেন মোদি (Narendra Modi)। এমনকী উল্লেখযোগ্যভাবে তাঁর মুখে একবারও শোনা যায়নি রামনাম। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই মোদি রামনাম এড়িয়ে গিয়েছেন বলেই পালটা দাবি তৃণমূলের।

    অনুপ্রবেশ ইস্যুতে এদিন মোদিকে পালটা খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। সাংবাদিক বৈঠক করে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “পালিয়ে ভয়ে বহু মহিলা, পুরুষ পালিয়ে চলে আসছেন। রাজবংশীরা এখানকার নাগরিক। ভারতের নাগরিক। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ দেওয়ার পর নোটিস দিচ্ছেন। কারণ, তাঁরা বাংলায় কথা বলছেন। গুজরাটে ব্যবসায়ীকে পুলিশ জিজ্ঞাসা করছেন আপনি বাঙালি? কারণ, তাঁর দোকানের সামনে বাংলায় লেখা। বাংলা লেখা অপরাধ? আপনি নিজেই নিয়ম লঙ্ঘন করছেন।”

    উল্লেখ্য, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে রাজনৈতিক তরজা বরাবরের। সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রের। কাঁটাতার আগলে রাখে বিএসএফ। তা সত্ত্বেও কীভাবে অনুপ্রবেশ হচ্ছে? তা নিয়ে গত বুধবারের মিছিলের পর মমতা নিজেই প্রশ্ন তুলেছেন। তার ঠিক দু’দিনের মাথায় সেই অনুপ্রবেশ ইস্যুতে এককাট্টা মোদি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)