• মোদির পায়ে হাত ‘মহাগুরু’র, ‘জাত গোখরো’র পিঠ চাপড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
    প্রতিদিন | ১৯ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেকদিন ধরেই বাংলায় পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। যদিও সে স্বপ্ন অধরাই থেকেছে। সারা বছর রাজনীতির ধার না মাড়ালেও ভোটের আগে উদিত হন ‘জাত গোখরো’ নামে পরিচিত মিঠুন চক্রবর্তী। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার দুর্গাপুরের সভা থেকে বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে ‘পরিবর্তন’-এর বোল তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর ভাষণ শেষে সেই মঞ্চেই মোদির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। পালটা ‘জাত গোখরো’র পিঠ চাপড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রীও।

    সারা বছর রাজনীতিতে না থাকলেও ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচারে দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়ান মিঠুন চক্রবর্তী। মোদির সভায় বিশেষ জায়গা দেওয়া হয় তাঁকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দুর্গাপুরের সভায় সামনের সারিতেই উপস্থিত ছিলেন বাংলার মহাগুরু। সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী যখন তৃণমূল সরকারকে একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছেন, তখন খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ‘মহাগুরুর’ মুখ। এরপর বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ভাষণ শেষের পর দেখা যায়, আসন ছেড়ে প্রধানমন্ত্রীর সামনে চলে আসেন মিঠুন। মাথানত করে প্রণাম করেন মোদির পায়ে। ২৬-এর ভোটে ‘বাংলাকে গেরুয়া রংয়ে রাঙিয়ে দেওয়ার স্বপ্নে বিভোর জাত গোখরোর পিঠ চাপড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

    নিজের ভাষণেও মিঠুনের (Mithun Chakraborty) মুখে শোনা যায় বিজেপি শাসিত বাংলার স্বপ্ন। দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে মিঠুন বলেন, “এবারের লড়াই শেষ লড়াই ভেবে মাঠে নামতে হবে। শেষ লড়াই জীবন, প্রাণ দিয়ে লড়তে হবে। আমাদের সঙ্গে মোদির আশীর্বাদ রয়েছে। আমি থাকব, আপনারা থাকবেন – সকলে একসঙ্গে থাকব। কী নিয়ে কথা বলব? দুর্নীতি? দুর্নীতির একটা ফাঁকও নেই। মা-বোনেদের ইজ্জত নিয়ে কথা বলার উপায় নেই। বাংলার ছেলে আমি। বাংলার মা-বোন সকলে আমার। রাজনীতি করি না, মানুষনীতি করি। এবারে মাঠে নামছি তৈরি হয়ে।” মাঠে নেমে লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে বিজেপির তারকা নেতা আরও বলেন, “২৩, ২৪ তারিখ থেকে পুরো মাঠে নামব। আপনাদের সাথে থাকব, কথা বলব। মাঠে থেকে লড়াই করব। এই লড়াই সবাই মনে রাখবে। বিজেপি হেরে যাওয়ার পাত্র নয়।”

    তবে মিঠুন একটা সময় বিজেপির সভায় উঠে ফিল্মি ডায়ালগ শোনাতেন। কখনও ‘জাত গোখরো’, তো কখনও ‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে’ ডায়ালগে হাততালি কুড়োতেন, সেই মিঠুনের এবার শোনা গেল শেষ লড়াইয়ের বার্তা। তারপর মোদির পা ছুঁয়ে এই প্রণামের বহর দেখে তৃণমূল শিবিরের কটাক্ষ, বিজেপিতে ফেল করতে করতে হতাশ মিঠুন শেষ বারের মতো একবার জ্বলে উঠতে চাইছেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)