• ‘বাংলায় এসেছেন বলেই একবারও রামের নাম নিলেন না’, ‘মিথ্যাচারী’ মোদিকে খোঁচা তৃণমূলের
    প্রতিদিন | ১৯ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপিশাসিত রাজ্যে ‘রাম’ বন্দনা চলে। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে রামমন্দির উদ্বোধনে দেশজুড়ে প্রচার হয়েছিল। বাংলাতেও বিজেপির নেতা, বিধায়ক, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা রামনামে জোর প্রচার করেছিলেন। ভোটের প্রচারে বাংলায় এসে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘রামের’ প্রসঙ্গ তুলেছিলেন একাধিকবার। কিন্তু এবার যেন উলটপুরাণ। নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যে এবার আর রামনাম শোনা গেল না! মোদির মুখে শোনা গেল, দেবী দুর্গা, কালীর নাম। আর সেই নিয়েই খোঁচা দিল তৃণমূল। বাংলায় এসেছেন বলেই একবারও রামের নাম নেওয়া হল না! এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে সেই খোঁচা দিল তৃণমূল।

    দুর্গাপুরে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধনে এদিন এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বাংলায় উন্নয়নের বার্তা দিয়েছেন তিনি। বক্তব্য রাখার সময় তিনি বাংলাতেও কথা বলেছেন। তবে এদিন তাঁর বক্তব্যে একবারও রামের নাম নিলেন না। তাঁর দীর্ঘ বক্তৃতায় একবারও রামনাম প্রসঙ্গ উঠে আসেনি। তিনি বক্তব্যের শুরুতেই দেবী দুর্গা, কালীর নাম নিয়েছেন। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী ভাঙা ভাঙা বাংলায় বললেন, “বড়রা আমার প্রণাম নেবেন। ছোটরা ভালোবাসা। জয় মা কালী। জয় মা দুর্গা।” বাংলায় শমীক ভট্টাচার্য সভাপতি হওয়ার পরই পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। তাহলে কি দুর্গাপুরের সভা থেকে বঙ্গ বিজেপির বঙ্গীয়করণে কার্যত সিলমোহর দিয়ে দিলেন মোদি? সেই প্রশ্নও উঠেছে।

    দুর্গাপুরের সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল না রামনাম। দীর্ঘ বক্তব্যে একবারও রামকে স্মরণে নিলেন না তিনি। আর সেখান থেকেই খোঁচা বাংলার শাসকদল তৃণমূলের। এদিন বিকেলে দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই খোঁচা দেওয়া হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি বাংলায় এসেছেন বলেই একবারও রামের নাম নিলেন না! দেবী দুর্গা, দেবী কালীর নাম নিয়েছেন তিনি। তাহলে কি এবার রাম স্মরণ থেকে সরছে বঙ্গ বিজেপি? ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের প্রচারে বাংলায় রাম মন্দির নিয়ে প্রচারে ঝড় তুলেছিল বঙ্গ বিজেপি। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ থেকে বিজেপির প্রথম সারির নেতারা বঙ্গে ভোটপ্রচারে এসে রামমন্দিরের প্রচার করেছিলেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বারেবার রামের শরণাপন্ন হন। কিন্তু তারপরও ইভিএম মেশিনে বঙ্গ বিজেপি কোনও আশানুরূপ ফল করেনি। বরং ২০১৯ সালের থেকেও গত লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির আসনসংখ্যা কমেছে।

    বাংলার মানুষ তথাকথিতভাবে রামের ভক্ত নয়। বিজেপিশাসিত রাজ্যের সংস্কৃতি বাংলায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। এই অভিযোগ আগেই তৃণমূলের তরফে উঠেছিল। বাংলায় বিজেপির সভাপতি বদলের পর তাহলে কি রামনাম থেকেও সরে আসতে শুরু করল বঙ্গবিজেপি? আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এবার দেবী দুর্গা, দেবী কালীকে স্মরণ করছে গেরুয়া শিবির? প্রধানমন্ত্রীর মুখে দুর্গা, কালীর প্রসঙ্গ কি সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে? সেই প্রশ্নও উসকে দিচ্ছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)