ইটাহারে আটদিন পর কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তে পাঠাল পুলিস
বর্তমান | ১৯ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, ইটাহার: বধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মৃত্যুর খবর পেয়ে ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরে থানায় অভিযোগ জানালেন মৃতার স্বামীর। অভিযোগের ভিত্তিতে বধূর মৃত্যুর আটদিন পর শুক্রবার কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তে পাঠাল পুলিস। মৃতার নাম রেশমা খাতুন (২৫)। ইটাহারের ছয়ঘরা ক্যানেল এলাকার এই ঘটনায় পুলিস গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্ত আব্দুল রহিমকে। মৃতার সঙ্গে রহিমের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে দাবি বধূর স্বামী সহ পরিজনের।
এই মৃত্যু নিয়ে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ১০ জুলাইয়ের। বধূর ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেদিনই স্থানীয় ও আত্মীয়রা মৃতদেহের শেষকৃত্য করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বধূর স্বামী রাহেদুর আলি সাতমাস ধরে ভিনরাজ্যে কর্মরত। বাড়িতে ৯ মাসের মেয়ে ও ৭ বছরের ছেলেকে নিয়ে থাকতেন রেশমা। ১০ জুলাই রাহেদুর স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ১২ জুলাই বাড়ি ফিরে আসেন। স্ত্রীর মোবাইল ঘেঁটে রাহেদুর যা জানতে পারেন, তাতে রীতিমতো অবাক তিনি। ফোন ঘেঁটে রাহেদুর জানতে পারেন, প্রতিবেশী যুবক রহিমের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এরপরই তিনি পুলিসের দ্বারস্থ হন। স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনেন প্রতিবেশী রহিমের বিরুদ্ধে।
রাহেদুর জানান, মৃত্যুর খবর পেয়ে চেন্নাই থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রীর ফোন দেখে জানতে পারি রহিমের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কের কথা। ঘটনার দিন রাতেও নাকি রহিম আমার বাড়ি এসেছিল। পুলিস সমস্ত দিক তদন্ত করে দেখুক।
বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়টি আত্মীয়রা পুলিসকে কেন জানালো না, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। যদিও মৃতার আত্মীয় সইদুর রহমানের দাবি, আমরা এই সম্পর্কের কথা জানতাম না। আমরা ভেবেছিলাম রেশমা হয়তো আত্মহত্যাই করেছে। তার স্বামী ভিনরাজ্যে কাজ করত। তার বাবাও নেই। তাই আমরা মৃতদেহের শেষকৃত্য করি। মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ থাকলে পুলিস তদন্ত করে দেখুক।
শুক্রবার পুলিস ইটাহারের বিডিও দিব্যেন্দু সরকারের উপস্থিতিতে মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিস জানায়, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। বিডিও বলেন, স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তদন্ত করছে।