সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: ভবঘুরের মৃতদেহ কুকুরে খুবলে খাওয়ার ঘটনায় বেসরকারি নিরাপত্তা এজেন্সিকে শোকজ করেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই রাতে অঙ্কোলজি বিভাগের সামনে কর্তব্যরত সাত নিরাপত্তাকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে ওই সংস্থা। অভিযোগ, এদের সাসপেন্ড করে দায় সারল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও ক্যাম্পাসে ভবঘুরে নিয়ে নাজেহাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবারও দেখা যায় অঙ্কোলজি বিভাগের করিডরে এক ভবঘুরে শুয়ে রয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে এবার থেকে সন্ধ্যার পর হাসপাতালে কোনও গাড়ি ও অ্যম্বুলেন্স ঢুকলে তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। রোগী নিয়ে এলে সোজা জরুরি বিভাগে গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স যাবে। রোগী না থাকলে সেই গাড়ি পরীক্ষা করে দেখা হবে বাইরে থেকে গোপনে ভবঘুরে নিয়ে আসা হয়েছে কি না।
হাসপাতালের অ্যাডিশনাল সুপার ডাঃ নন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাইরে থেকে যেভাবে দিনের পর দিন নার্সিংহোম সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ভবঘুরেদের এখানে ফেলে রাখা হচ্ছে তা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সন্ধ্যার পর প্রতিটি গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সে তল্লাশি চলবে।
বৃহস্পতিবার সকালে অঙ্কোলজি বিভাগের সামনে করিডরে এক ভবঘুরের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেই মৃতদেহের একটি পা কুকুরে খুবলে খেয়েছিল। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকালে সেই করিডরে এক ভবঘুরেকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের বেগ পেতে হয় তাকে সাফসাফাই করে হাসপাতালে ভর্তি করাতে। তার আগে সাইক্রিয়াটিক বিভাগের সামনে এক ভবঘুরে বসেছিলেন। তাকেও উদ্ধার করে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়।
অ্যাডিশনাল সুপার বলেন, মৃতদেহ খুবলে খাওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা সংস্থাকে শোকজ করা হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে, কেন বুধবার রাতের ওই ঘটনায় কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীরা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়নি। সেই দায়িত্ব পালন না করে কেন ঘটনার ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। যদিও ওই এজন্সির এক কর্তা জানিয়েছেন, সাতজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।