নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় কাঁথিতে ভিড় উপচে পড়ল। শুক্রবার কাঁথির সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে ওই সভায় একঝাঁক নেতৃত্ব উপস্থিত ছিল। জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক, জেলা তৃণমূল সভাপতি পীযূষকান্তি পন্ডা, মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী শতরূপা পয়ড়া, কাঁথি-৩ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ বেজ সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদ জানানো হয়। কাঁথি-১, দেশপ্রাণ ও কাঁথি-৩ ব্লক থেকে কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাধিপতি বলেন, কয়েকদিন আগে বিজেপি এই সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে সভা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেছিল। কাঁথির মানুষ তার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি আছেন। দীঘা যাওয়ার পথে কাঁথিতে মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ছাত্র-যুব থেকে সাধারণ মানুষের আবেগ প্রত্যক্ষ করেছেন সকলেই। তাই তাঁকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ কোনও অবস্থায় মেনে নেবেন না কাঁথিবাসী। ছাব্বিশের ভোটে এর উপযুক্ত জবাব পাবে বিজেপি।তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে কলকাতার রাজপথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষ পা মিলিয়েছেন। বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। থানায় বসিয়ে রেখে বাংলাদেশি তকমা দেওয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদে কলকাতার রাজপথে নেত্রী গর্জে উঠেছেন। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের অনেক মানুষ ওড়িশায় কাজ করেন। তাঁদের বাংলাদেশি সন্দেহে পাঁচ-ছ’দিন থানায় বসিয়ে রাখা হয়। জেলাশাসক ও পুলিস সুপারের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট পাঠানোর পর রাজ্য সরকার ওড়িশা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর তাঁদের মুক্ত করা হয়। সারা দেশে বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের উপর অত্যাচার চলছে। এর প্রতিবাদে সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোটে তাদের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।-নিজস্ব চিত্র