• রামপুরহাটে যুবতীর হাত ও ওড়না ধরে টানটানি, জেসিবি চালককে গণপিটুনি
    বর্তমান | ১৯ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: সাইকেল চালিয়ে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পথে এক যুবতীর ওড়না ও হাত ধরে টানাটানি করার অভিযোগ উঠল এক জেসিবি চালকের বিরুদ্ধে। যুবতীর চিৎকার শুনে ওখানে জমিতে কর্মরত চাষি ও শ্রমিকরা দৌড়ে এসে ওই চালককে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিসের হাতে তুলে দিল। শুক্রবার সাতসকালে ঘটনাটি ঘটেছে রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর রামপুরহাট থানার খরুণ গ্রামে ঢোকার মুখে। পুলিস জানিয়েছে, উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ওই জেসিবি চালককে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রকাশ্যে এই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিস পেট্রলিং জোরদার করার দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়কের ধারে জেসিবি দিয়ে খুঁড়ে গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছে। অভিযোগ, সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ এলাকার এক যুবতী সাইকেল চালিয়ে রামপুরহাটের একটি নার্সিংহোমে কাজে যোগ দিতে আসছিলেন। জাতীয় সড়কে ওঠার মুখেই ওই জেসিবি চালক যুবতীকে একা পেয়ে তাঁর সাইকেল আটকায়। এরপর হাত এবং ওড়না ধরে টানাটানি করে। যুবতী চিৎকার চেঁচামেচি করায় ওখানে জমিতে কাজ করা চাষি ও শ্রমিকরা দৌড়ে এসে ওই যুবককে ধরে ফেলেন। এরপরই শুরু হয় গণপিটুনি। ওই সময় রাস্তা দিয়ে যাওয়া প্রচুর মানুষ ও যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রামপুরহাট থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। তাঁরা উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ওই জেসিবি চালককে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন যুবতীর আত্মীয়রাও। তবে তাঁরা কিছু বলতে চাননি। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত চালকের বাড়ি মহম্মদবাজার থানার সালুকা গ্রামে। পরিবারকে থানায় অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। যদিও শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।  স্থানীয়রা জানান, যুবতীর বাবা নেই। দাদা ও মায়ের সঙ্গে থাকেন। তাঁর বিয়ের দেখাশোনাও চলছে। সেজন্য বিষয়টি নিয়ে হইচই করতে চাইছেন না পরিবারের লোকজন। তবে প্রকাশ্যে ব্যস্ত জাতীয় সড়কে জেসিবি চালকের সাহস দেখে তাজ্জব এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা বলেন, দিনের আলোয় যদি এঘটনা ঘটে, তাহলে রাতে সড়ক কতটা নিরাপদ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।  এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক সৌমিত্র রায় বলেন, বহু ছাত্রী এই সড়ক দিয়ে রামপুরহাটে কলেজে ও স্কুলে যাতায়াত করে। অনেক মহিলাও কর্মসূত্রে যাতায়াত করেন। এই ঘটনার পর নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। পুলিস পেট্রলিং যাতে ভালোভাবে হয় সেব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।  তৃণমূলের রামপুরহাট-১ ব্লক সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামাতো ভাই নীহার মুখোপাধ্যায় বলেন, এমন ঘটনা মোটেই কাম্য নয়। এব্যাপারে পুলিসের সঙ্গে কথা বলা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)