• যানজট নিয়ন্ত্রণের শর্তে ২১ জুলাই পালনের অনুমতি তৃণমূলকে
    বর্তমান | ১৯ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: যানজট নিয়ন্ত্রণের শর্তে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ২১ জুলাই শহিদ দিবস  কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, সকাল ৮টার মধ্যে সভাস্থল পর্যন্ত মিছিল করে আসা যাবে। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত শহরে যাতে কোনও যানজট না হয়, তা কলকাতা পুলিসকে নিশ্চিত করতে হবে। সেইসঙ্গে বিচারপতি ঘোষের আরও নির্দেশ, কলকাতা হাই কোর্ট যাওয়ার রাস্তা, উত্তর ও মধ্য কলকাতা এবং তার আশপাশের যত অফিস রয়েছে, তার আওতাধীন ৫ কিলোমিটার এলাকায় যাতে যানজট না হয়, তাও পুলিসকে নিশ্চিত করতে হবে। 

    ২১ জুলাই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যান চলাচলে যাতে বিঘ্ন না ঘটে—এই দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল অল ইন্ডিয়া ল’ইয়ার্স ইউনিয়ন। তাদের তরফে আইনজীবী শামিম আহমেদ, সিদ্ধার্থশঙ্কর মন্ডল এবং সৌম্য দাশগুপ্ত সওয়াল করে বলেন, ‘২১ জুলাইয়ের কর্মসূচির বিরোধিতা করছি না।  ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ওই এলাকায় বছরের অন্য সময় ১৪৪ ধারা থাকে। কোনও রাজনৈতিক দলকে কর্মসূচি করতে দেওয়া হয় না। তৃণমূলের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়।’ 

    রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কলকাতা পুলিস যান নিয়ন্ত্রণের সব রকম ব্যবস্থা করেছে। সিপিএম-বিজেপির ব্রিগেড কর্মসূচি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর শহরে এলেও তাই করা হয়। ট্রাফিক হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। কেউ সমস্যায় পড়লে ফোন করে সাহায্য চাইতে পারবেন।

    এরপরই তৃণমূলের আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যর কাছে বিচারপতি জানতে চান, ‘কত লোক হবে বলে আশা করছেন?’ তিনি জানান ১০ লক্ষের কাছাকাছি লোক হবে। বিচারপতি তখন বলেন, ‘কলকাতার পুলিস   কী কী পদক্ষেপ করছেন, তা স্পষ্ট করা দরকার। পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে হয়, কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে? আমহার্স্ট স্ট্রিট এবং কলেজ স্ট্রিট যদি বন্ধ হয়, তা হলে উত্তর কলকাতা স্তব্ধ হয়ে যাবে।’ এরপরই বিচারপতি নির্দেশে জানিয়ে দেন, সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে মধ্য কলকাতায় যানজট নিয়ন্ত্রণে করতে হবে কলকাতা পুলিসকেই। 

    আদালতের এই নির্দেশের পর তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনের জায়গার একটি স্থান মাহাত্ম্য  রয়েছে। কিন্তু সিপিএম নিজেদের অত্যাচার ও তাণ্ডবের কারণেই এখন সেটা ভুলিয়ে দিতে চাইছে। শহিদ স্মৃতি তর্পণের সঙ্গে ওই জায়গাটির একটি আবেগ জড়িয়ে আছে।’   
  • Link to this news (বর্তমান)