সোদপুরের এমএন চ্যাটার্জি রোডে ভেঙে পড়ল বহু পুরনো একটি বসতবাড়ি। প্রাচীন ওই বাড়ির নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় দেবকুমার শ্রীমানি নামে এক ব্যক্তির। শনিবার ভোরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পানিহাটি পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিশ। স্থানীয় পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই বাড়ির অবস্থা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ভগ্নদশায় থাকা ওই বাড়িতে তিন শরিক মিলে বসবাস করতেন। অভিযোগ, বাড়িটির দুরবস্থার কথা জানিয়ে বহুবার সতর্ক করা হলেও কোনও রকম মেরামতির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় কাউন্সিলর ঝর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘বাড়িটি অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। একাধিকবার সতর্ক করেও কেউ শোনেননি।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, শনিবার ভোরে হঠাৎ করেই বাড়ির একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ইট-পাথরের স্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান দেবকুমারবাবু। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় খড়দহ থানায়। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে শুরু করেন উদ্ধারকাজ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতের বৌদি ভারতী শ্রীমানি বলেন, ‘সব শেষ হয়ে গেল। এতবার বলেছিলাম, বাড়িটা ছেড়ে দাও, শুনল না।’ প্রতিবেশী দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই আশঙ্কা ছিল, বাড়ি যে কোনও সময় ভেঙে পড়বে। কিন্তু কেউ গুরুত্ব দেয়নি।’