• ‘যাঁরা বাংলা ভাষার জন্য লড়ছেন, পাশে আছি’, হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকারকে বিঁধে পোস্ট মমতার
    এই সময় | ১৯ জুলাই ২০২৫
  • আবারও বাঙালি আবেগে শান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অসমে বাংলাভাষীদের হেনস্থা নিয়ে এ বার এক্স হ্যান্ডলে হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকারকে নিশানা মমতার। অসমে বাঙালিদের ভয় দেখানোর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর সোশ্যাল পোস্টে। পাল্টা জবাব দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রীও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটব্যাঙ্ক রক্ষায় তোষণের রাজনীতির অভিযোগ তুলে হিমন্ত দাবি করেন, হেনস্থা নয়, অনুপ্রবেশ রুখতে চেষ্টা করা হচ্ছে। ভাষা বা ধর্মের ভিত্তিতে কোনও ভাগাভাগি নয়, রিফিউজিদের আটকাতেই যা করার করা হবে।

    গোটা দেশে কথা বলার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে বাংলা। অসমেও দ্বিতীয় স্থানে বাংলাভাষীরা— এই তথ্য তুলে ধরে শনিবার এক্স হ্যান্ডলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘যাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে সহাবস্থানে বিশ্বাসী, সেই সব মানুষকে ভয় দেখানো অসাংবিধানিক কাজ। সব ভাষা, সব ধর্মের মানুষকে সম্মান জানানো উচিত। অসমে বিজেপির এই অ্যাজেন্ডা ধ্বংসাত্মক আকার নিয়েছে। মানুষও পাল্টা লড়াই করবে। আমি প্রত্যেক অকুতোভয় মানুষের সঙ্গে আছি, যাঁরা তাঁদের পরিচয়, তাঁদের মাতৃভাষার জন্য লড়াই করছেন। এটা তাঁদের অধিকারের মধ্যে পড়ে।’

    পাল্টা হিমন্ত বিশ্বশর্মার পোস্ট, ‘অসমে নিজেদের মানুষের সঙ্গে লড়াই হচ্ছে না। অসম সরকার নির্ভীক ভাবে অনুপ্রবেশ রুখতে বদ্ধপরিকর। সীমান্ত ধরে সংখ্যালঘু অনুপ্রবেশ ভৌগলিক ছবিটাই বদলে দেবে। বহু জায়গায় নিজভূমে এখন হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন। এটা রাজনীতি নয়, এটা বাস্তব।’

    কিছু দিন আগেই অসমের ধুবুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার একটি মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। তিনি বলেছিলেন, ‘আপনি যদি বাড়িতে অহমিয়া ভাষায় কথা না–বলেন, আপনি যদি বাড়িতে বাংলায় কথা বলেন, তা হলে আপনি কেন অফিসারদের বলছেন অহমিয়াতে কথা বলেন? এই অসত্য তথ্য কেন দিচ্ছেন? এর অর্থ, এঁরা বাংলাদেশ থেকে অসমে ঢুকেছেন। আমাদের আর এনআরসি করতে হবে না। এই ভাবেই আমরা বাংলাদেশির সংখ্যা জানতে পারব। বাংলাদেশি চিহ্নিত করার এটা নতুন পদ্ধতি হবে।’

    এর পরেই তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে হিমন্তের এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করে লেখা হয়, ‘হিমন্ত বিশ্বশর্মা যখন ‘জনগণমন’ কিংবা ‘বন্দেমাতরম’ গান, তখন কি উনিও ওঁরই যুক্তিতে অবৈধ বাংলাদেশি হয়ে যান?’ সমালোচনা করে সিপিএম হিমন্তকে প্রকাশ্যে ক্ষমতা চাওয়ার দাবি তোলে। এই আবহে এ বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি বিঁধলেন অসমের বিজেপি সরকারকে। ১৬ জুলাই বাংলাভাষিদের হেনস্থার প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন তিনি। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে এ নিয়ে কর্মসূচি ঘোষণার আগাম বার্তাও শুনিয়ে রেখেছেন। তার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর তরজা।

  • Link to this news (এই সময়)