ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই অসুস্থ আট প্রসূতি, চাঞ্চল্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে
বর্তমান | ১৯ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, বালুরঘাট: ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেই দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে যান আটজন প্রসূতি। রাত থেকেই তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়। গতকাল, শুক্রবার মধ্যরাতে ও আজ, শনিবার ভোররাতে একের পর এক অসুস্থ প্রসূতিকে পাঠানো হয় সিসিইউ ওয়ার্ডে। বর্তমানে আটজন প্রসূতি সিসিইউ ওয়ার্ডেই ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সকলের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, বিপদ এখনও কাটেনি। ফলে চরম আশঙ্কায় রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কী কারণে এই অসুস্থতা, তা নিয়ে এখনও স্বাস্থ্যকর্তারা মুখ খুলতে চাননি। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, গতকাল, শুক্রবার রাতেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং যে সমস্ত ওষুধ, ইঞ্জেকশন ও স্যালাইন রোগীদের দেওয়া হয়েছিল সেইসব সংরক্ষণ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। আগামী সোমবার তদন্ত কমিটির একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে।অসুস্থ প্রসূতিদের পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল সন্ধ্যার পর ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকেই অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। আটজনের অবস্থা গুরুতর হয়। কেউ জ্বরে কাঁপতে থাকে, কারও শ্বাসকষ্ট হয়। তাঁরা প্রত্যেকেই সদ্য শিশুর জন্ম দিয়েছেন। প্রসূতিদের পরিবারের তরফে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়েই গতকাল রাতে হাসপাতালে ছুটে আসেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস সহ সুপার, ডেপুটি সুপারসহ এক ঝাঁক চিকিৎসকরা। অসুস্থ প্রসূতিদের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়ে আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। রাতভর হাসপাতালেই ছিলেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ অন্যান্যরা। এদিকে রোগীর পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছুটে আসেন বালুরঘাট থানার আইসি একাধিক পুলিস আধিকারিক।গোটা বিষয়টি নিয়ে এক প্রসূতির আত্মীয় পিন্টু দাস বলেন, ‘আমার বউদির সদ্য সন্তান হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় কিছু একটা ইঞ্জেকশন দিয়েছিল ওরা। তারপর থেকেই থরথর করে কাঁপছিল। আমাদের মনে হচ্ছে চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়েছে। রাতেই সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। কি থেকে এই সমস্যা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্টভাবে আমাদের কিছুই জানায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’