• ডুবন্ত বাংলাদেশি বার্জ থেকে ছাই জলে মিশে দূষণের আশঙ্কা
    আনন্দবাজার | ১৯ জুলাই ২০২৫
  • মুড়িগঙ্গা নদীতে দুর্ঘটনায় ভেঙে দু’টুকরো হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশি বার্জ। ডুবতে শুরু করেছে সেটি। বার্জে বোঝাই ফ্লাই অ্যাশ নদীর জলে মিশে দূষণ ছড়াবে বলে আশঙ্কা। প্রচুর মাছের মৃত্যুও ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার নামখানার নারায়ণপুরের নাদাভাঙা এলাকা থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে মুড়িগঙ্গা নদীতে চরায় ধাক্কা লেগে বাংলাদেশি বার্জ ‘এমভি সোহন মালতি’ মাঝ বরাবর ভেঙে যায়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে বিষয়টি। বার্জের ভারতীয় এজেন্টকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে।

    ফ্রেবুয়ারি মাসে ঘোড়ামারা দ্বীপের কাছে মুড়িগঙ্গা নদীতে ছাই বোঝাই বাংলাদেশি বার্জ ডুবেছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে কাকদ্বীপ লট ৮ এলসিটি ঘাটের কাছাকাছি চরে রাখা রয়েছে। চলছে মেরামতির কাজ। ২০১৩ সালে মুড়িগঙ্গায় ডুবে গিয়েছিল একটি বাংলাদেশি জাহাজ। ডুবে যাওয়া সেই জাহাজের উপরে দশ বছর ধরে পলি জমতে জমতে তৈরি হয়ে গিয়েছে আস্ত চর!

    কপিলমুনির আশ্রমে যেতে হলে কাকদ্বীপের লট ৮ থেকে মুড়িগঙ্গা নদী পেরোতে হয়। ও পারে কচুবেড়িয়া। সেখান থেকে আরও এক ঘণ্টার পথ গঙ্গাসাগর। কিন্তু বিপত্তি অন্য জায়গায়। মেলার আগে মুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে থাকা বাংলাদেশি বার্জকে তোলার উদ্যোগ করা হচ্ছে না। পরে তা আদৌ কেটে তোলা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।

    পরিবেশবিদ বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে ছাই নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে ইট তৈরি করে। ২০০৫ থেকে বহু বার বাংলাদেশের জাহাজ, বার্জ ডুবেছে। নদীর নাব্যতা কমে যাচ্ছে। জাহাজগুলিকে এমন ক্ষেত্রে জরিমানা করা উচিত। কিন্তু এটা আন্তর্জাতিক জলপথ হওয়ায় রাজ্য ও কেন্দ্র কেউ কোনও পদক্ষেপ করছে না।’’ যদিও তাঁর দাবি, ১৯৭৪ জলদূষণ ও পরিবেশদূষণ আইনে এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)