গোপালগঞ্জের গোবিন্দপুর থেকে চৌরঙ্গি মোড় পর্যন্ত ৪১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে ঘিরে শুক্রবার উত্তেজনা ছড়াল সালানপুর ব্লকের ধাঙ্গুড়ি মৌজায়। স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, তাঁদের পৈতৃক জমি সরকারের নথিতে খাস জমি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কাছে থাকা নথির সঙ্গে সেই হিসাব মিলছে না। জমির মালিকদের অভিযোগ, জাতীয় সড়ক নির্মাণের জন্য এই মৌজার ৭০২ দাগ নম্বরের প্রায় আট একর ৯৬ শতক জমির মধ্যে বেশির ভাগে গরমিল দেখা গিয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, ১৯৬৩ সালের রেকর্ড অনুযায়ী এই জমির বেশির ভাগ অংশই সরকারি হিসাবে নথিভুক্ত রয়েছে। উপস্থিত থাকা আধিকারিকেরা জানান, তারা নথির ভিত্তিতে কাজ করছেন। গ্রামের বাসিন্দাদের কাগজপত্র পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে।
তবে গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, তাঁদের জমি কী ভাবে সরকারি জমি হয়ে গেল বুঝতে পারছেন না। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের নকশা ও ভূমির রেকর্ড অফিসের তথ্যের সঙ্গে তাঁদের কাগজপত্র মিলছে না। ভূমি অধিগ্রহণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট দফতর ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা অধিগ্রহণ করা জমি পরিদর্শন করেছেন। গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের জমির কাগজপত্র ভূমি দফতরে জমা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।