• নতুন নির্দেশে বৈঠক, কড়া নজরে ধান ক্রয়কেন্দ্রগুলি
    আনন্দবাজার | ১৯ জুলাই ২০২৫
  • ধান কেনার মরসুম শুরুর আগেই কেন্দ্রের নির্দেশে কড়া নজরে রাজ্যের সহায়ক-মূল্যে ধান ক্রয়কেন্দ্রগুলি। চালু হয়েছে অনলাইন স্বমূল্যায়নের পদ্ধতি। প্রতি কেন্দ্রকে নিজের কাজ ও পরিকাঠামো মূল্যায়ন করে তথ্য আপলোড করতে হবে 'পিসিএসএপি' পোর্টালে। তা খতিয়ে দেখবে রাজ্য খাদ্য দফতর ও ভারত সরকারের খাদ্য নিগম। সময়ে তথ্য জমা না দিলে বাতিল হতে পারে কেন্দ্রের স্বীকৃতি।

    এখন আমন ধানের চাষের প্রস্তুতি চলছে। তার আগেই জেলায় শুরু হয়েছে সহায়ক মূল্যে ধান সংগ্রহ প্রস্তুতি নিয়ে পর্যালোচনা। বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক ভবনে প্রস্তুতি বৈঠক করে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য দফতর। ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি পম্পা পাল, জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা, জেলা খাদ্য দফতরের আধিকারিক রাণু সমাজদার হীরা, চালকল মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা প্রমুখ। রাণু বলেন, ‘‘১ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা। এ বার কিছু নতুন নির্দেশিকা এসেছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘চাষিরা এ বার দিনে ১৫ কুইন্টাল ও মরসুমে সর্বোচ্চ ৯০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারবেন। আগে দিনে ৩০ কুইন্টাল বিক্রি করা যেত। তা কমানো হয়েছে যাতে বেশি সংখ্যক চাষি অংশ নিতে পারেন।’’

    খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৫-২৬ মুরসুমে আগে কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের প্রতিটি ধান ক্রয়কেন্দ্রের মান যাচাইয়ের জন্য অনলাইন পদ্ধতি চালু হয়েছে। অনেক কেন্দ্র ইতিমধ্যেই পোর্টালে তথ্য আপলোড করেছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে ভুল ছবি বা তথ্য দেওয়ার কারণে কেন্দ্রের তরফে সতর্ক করা হয়েছে।এই 'পিসিএসএপি' পোর্টাল যুক্ত রয়েছে কেন্দ্রীয় সিএফপিপি পোর্টালের সঙ্গে। রাজ্য সরকার যখনই কোনও ধান সহায়ক কেন্দ্রকে অনুমোদন দেবে, সেই তথ্য স্বয়ংক্রিয় ভাবে পোর্টালে আপলোড হয়ে যাবে। ম্যানুয়াল এন্ট্রি চলবে না। প্রতিটি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকের মাধ্যমে তথ্য ও প্রমাণপত্র আপলোড করতে হবে। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ছবির উপরে। প্রতিটি ছবি জিও-ট্যাগ হওয়া বাধ্যতামূলক। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ছবি আপলোড করে তার সময় ও অবস্থান যাচাই করা সম্ভব হবে। নির্দেশিকায় বলা হয়, পরিকাঠামোর মানের ভিত্তিতে কেন্দ্রগুলিকে চার ভাগে ভাগ করা হবে, ‘পুওর প্র্যাকটিস’, 'এসেনশিয়াল', 'ইমপর্ট্যান্ট' এবং 'ডিজ়ায়ারেবল'। ‘রেড ফ্ল্যাগড’ হবে কোন কেন্দ্র, কোথায় ঘাটতি রয়েছে, তা চিহ্নিত করতেই এই স্বমূল্যায়নের উদ্যোগ বলে জানান খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা। জেলা খাদ্য দফতরের সূত্রে খবর, গত বছর উত্তর দিনাজপুরে প্রায় ৩ লক্ষ টন ধান কেনা হয়েছিল ৯৮ হাজার চাষির কাছ থেকে। উত্তর দিনাজপুর চালকল মালিক সংগঠনের সভাপতি অমিত কুন্ডু বলেন, ‘‘নতুন নির্দেশিকা নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। তবে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা কত বাড়ানো হবে, সে বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট কোনও রকম নির্দেশ আসেনি।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)