আত্মহত্যা না কি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ? আইআইটি খড়্গপুরে ঋতমের মৃত্যু ঘিরে রহস্য এখনও কাটল না
আনন্দবাজার | ১৯ জুলাই ২০২৫
আইআইটি খড়্গপুরে হস্টেলের ঘর থেকে শুক্রবার উদ্ধার হয়েছিল তাঁর দেহ। ময়নাতদন্তের পর শনিবার মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া ঋতম মণ্ডলের দেহ তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে। পরে পরিবারের লোকেরা খড়্গপুরের মন্দিরতলা শ্মশানঘাটে পড়ুয়ার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে।
কিন্তু শনিবারেও স্পষ্ট হল না ঋতমের মৃত্যুর কারণ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন। তবে তদন্তকারীদের বক্তব্য, মৃত্যুর নেপথ্যে আর অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা বোঝা যাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘কী কারণে মৃত্যু, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে জানা যাবে। মৃত্যুর পিছনে কী রহস্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক অনুমান, ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছে।’’
ঋতম যদি আত্মহত্যা করে থাকেন, তা হলে তার কারণ কি পড়াশোনা, না পারিবারিক, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। খড়্গপুর আইআইটির নবনিযুক্ত ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী বলেন, “ওই ছাত্র আমার মেক্যানিক্যাল বিভাগের ছাত্র হলেও আমি কখনও পড়াইনি। তবে আমি ওঁর ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজ়ারদের থেকে খোঁজ করেছি। ঋতমের কোনও সমস্যা অধ্যাপকদের নজরে পড়েনি বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। কাউন্সেলিং সেন্টার থেকে খবর নিয়েছি। সেখানেও ওই ছাত্র কখনও যায়নি। ঘটনার কারণ খুঁজতে একটি ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ কমিটি করছি। পুলিশের তদন্তে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করব।”
এই নিয়ে চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত চার পড়ুয়ার মৃত্যু হল এই খড়্গপুর আইআইটিতে। স্থায়ী ডিরেক্টরের পদে যোগ দেওয়ার পরে সম্প্রতি পড়ুয়া মৃত্যু ঠেকাতে ‘ক্যাম্পাস মাদার’ ও ‘সেতু’ অ্যাপ চালুর কথা জানিয়েছেন সুমন চক্রবর্তী। ২৫ জুলাই ‘সেতু’ অ্যাপ চালু করার কথা। এখন গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটিয়ে হস্টেলে ফিরছেন পড়ুয়ারা। ঋতমও দিন দু’য়েক আগে হস্টেলে ফিরেছিলেন। তার পরেই এই ঘটনা।