ফিরে জোরদার লড়াই শুরু করুন! নড্ডা-বার্তায় ‘উজ্জীবিত’ দিলীপ ২১ জুলাই খড়্গপুরমুখী বিজেপির শহিদ দিবস পালনে
আনন্দবাজার | ১৯ জুলাই ২০২৫
২১ জুলাই তিনি কোথায় থাকবেন, তা নিয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে নিজেই জল্পনা তৈরির চেষ্টা করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। ১৯ জুলাই এসে জানালেন পরিকল্পনা। দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে কী কথা হল, তা-ও জানালেন শনিবার দুপুরে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছিলেন বাংলায়। আর সে দিনই দিল্লি চলে যান প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ। যাওয়ার আগে জানিয়েছিলেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। কিন্তু, বৈঠকে কী আলোচনা হল, তা নিয়ে শুক্রবার কিছু বলতে চাননি প্রাক্তন সাংসদ। শনিবার দিলীপ জানালেন কারণ। বললেন, ‘‘নড্ডাজির সঙ্গে খুব গল্প হয়েছে।’’ ঝাড়া এক ঘণ্টার বৈঠকে স্রেফ গল্প? দিলীপের তুরন্ত জবাব, ‘‘প্রেসিডেন্ট (বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি) যদি আমাকে গল্প করতে ডাকেন, তা হলে কী করা যাবে!’’
শুক্রবার দুর্গাপুরে নেহরু স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক কর্মসূচির পরে রাজনৈতিক সভা ছিল বিজেপির। উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদী। আগে থেকে দিলীপ জানিয়েছিলেন, দল না ডাকলেও বিজেপির সাধারণ কর্মী হিসাবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত বদলান। শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লির বিমান ধরার আগে তিনি বলেন, ‘‘আমাকে কর্মীরা ডেকেছিলেন, আমি তাই হ্যাঁ বলেছিলাম। পার্টি আমাকে ডাকেনি। হয়তো পার্টি চায়ও না আমি দুর্গাপুরে যাই। গেলে অস্বস্তি হবে। সেই জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাচ্ছি না।’’ সেই সঙ্গে জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে বিশেষ কাজে যাচ্ছেন। শনিবার দিল্লি থেকে ঘুরে এসে দিলীপ বললেন, ‘‘আমার মনে হল, আমি গেলে আমায় কোথায় রাখা হবে সেটা ঠিক করতে পারছে না। সে জন্য যাব না। সেই সময় মাননীয় সভাপতি (নড্ডা) ডাকলেন, আমি দিল্লি চলে গেলাম।’’
দিলীপ জানান, তাঁর দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে তাঁর নানা গল্প হয়েছে। সংগঠন নিয়ে দু’জনে শলা-পরামর্শ করেছেন। বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘সংগঠনের বিষয়ে কথা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ভোট (বিধানসভা), সংগঠন, প্রস্তুতি— সব নিয়ে কথা হয়েছে। উনি বললেন রাজ্যে গিয়ে জোরদার লড়াই করুন।’’
এখন কি কোনও বিশেষ দায়িত্ব পেলেন বর্তমানে শুধুই বিজেপি নেতা দিলীপ? প্রাক্তন সাংসদ বললেন,‘‘দায়িত্ব এখনই কী করে দেবেন! আর প্রধানমন্ত্রীর সভা বাদ দিয়ে সভাপতি যখন ডেকেছেন, তখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তো বটেই। সব ব্যাপারেই কথা হয়েছে।’’
আগামী ২১ জুলাই তৃণমূলের ‘শহিদ দিবস’। ওই দিন খড়্গপুরে বিজেপির শহিদ স্মরণ দিবস পালন করবেন বলে জানালেন দিলীপ। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলায় প্রায় আড়াইশো কর্মী তৃণমূলের হিংসার বলি। তাঁদের শ্রদ্ধা জানাব।’’ এটাই কি ২১ তারিখের চমক? দিলীপ বললেন, ‘‘২১ তারিখ তো চলে যায়নি এখনও। দেখুন না কী হয়।’’