• বাঙালি বিদ্বেষ: গুরুগ্রামে আটক নদীয়া ও কোচবিহারের ১০ শ্রমিক
    বর্তমান | ২০ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: ভিনরাজ্যে বাংলা এবং বাঙালি বিদ্বেষের ঘটনা হয়েই চলেছে। এবারও ঘটনাস্থল গুরুগ্রাম। বাংলাভাষী হওয়ায় বাংলাদেশের নাগরিক বলে সন্দেহ। বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় সে কারণে কোচবিহারের আট ও নদীয়ার দুই বাসিন্দাকে পুলিস আটক করেছে। শনিবার সকাল সাতটা নাগাদ গুরুগ্রামের সেক্টর-৬৫ এলাকায় গিয়ে পুলিস বাংলাদেশি সন্দেহে ১০ জনকে আটক করে। শ্রমিকরা আধার কার্ড দেখান। অভিযোগ, পুলিস সেগুলি কেড়ে নেয়। আর তাঁদের ধরে নিয়ে যায় থানায়। বিষয়টি এদিন সামনে আসতেই পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলামকে জানান কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলার শ্রমিকরা বারবার পুলিসি হয়রানির মুখে পড়ছে বলে অভিযোগ জানান। এই ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে সেখানকার বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে। পার্থপ্রতিমবাবু বলেন, ‘ফের বিজেপি শাসিত গুরুগ্রামে বাদশাপুর থানার পুলিস কোচবিহার ও নদীয়া জেলার শ্রমিকদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটকে রেখেছে। শ্রমিকদের মধ্যে কোচবিহারের মানুষ রয়েছেন। বিষয়টি শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।’ 

    মতিয়ার মিয়াঁ নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক দিল্লি থেকে ফোনে বলেন, ‘এদিন সকালে হরিয়ানা পুলিস এসে বাংলাদেশি সন্দেহে ১০ জনকে নিয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে আমার ছেলেও আছে। ওদের ঘুম থেকে তুলে আধার কার্ড দেখতে চায় পুলিস। দেখানোর পর সেগুলি নিয়ে নেয়। খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।’ জানা গিয়েছে, পুলিস যাঁদের নিয়ে গিয়েছে তাঁদের মধ্যে অনেকে রাজবংশী, কেউ নস্য শেখ বা তেলি সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা। কিন্তু গুরুগ্রামের পুলিস তাঁদের বাংলাদেশের নাগরিক সন্দেহে থানায় নিয়ে গিয়েছে। দিনকয়েক আগে কোচবিহারের জিরানপুরের এক বাসিন্দার সঙ্গে গুরুগ্রামে এমনই ঘটনা ঘটেছিল। হরিয়ানায় বারবার বাংলার শ্রমিকদের হেনস্তা নিয়ে সরব কোচবিহারের মানুষ। পার্থপ্রতিমবাবু জানান, এমন চলতে থাকলে ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলন হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)