• বাঙালি-প্রশ্নে বামের হাতিয়ার ‘বইয়ের হাট’
    আনন্দবাজার | ২০ জুলাই ২০২৫
  • ভিন্-রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘হেনস্থা’র ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ‘বাঙালি-আবেগ’ নিয়ে সুর সপ্তমে চড়েছে। এই প্রেক্ষিতে এ বার বইকে হাতিয়ার করে মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছতে চাইছে বামেরা। ন্যাশনাল বুক এজেন্সি (এনবিএ) এবং অন্য বিভিন্ন প্রকাশনার নানা ধরনের ‘দুষ্প্রাপ্য বইয়ে’র পসরা সাজিয়ে তা ৫০% ছাড়ে বিক্রি করতে চলেছে বামেরা। কলেজ স্ট্রিট, বিধাননগর, দুর্গাপুরে এনবিএ-র কাউন্টারে ২২ জুলাই থেকে ৪ অগস্ট চলবে এই বিশেষ ‘বইয়ের হাট’।

    সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী শনিবার এনবিএ-র কলেজ স্ট্রিটের দফতর থেকে বলেন, “রাজ্যের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ভাষার গুরুত্ব প্রসঙ্গে বাড়তি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। বাংলাভাষী দেখলেই বাংলাদেশি বলে হেনস্থা করার ঘটনা ঘটছে। স্কুলশিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় দুষ্প্রাপ্য, মতাদর্শগত, অনুবাদ সাহিত্য, দর্শন, অর্থনীতি-সহ বিভিন্ন বিষয়ের বইকে জ্ঞানচর্চার হাতিয়ার হিসেবে আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে দেব।” এর পাশাপাশি, এনবিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, হরেকৃষ্ণ কোঙার, দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, ইরফান হাবিবের মতো ব্যক্তিত্বদের লেখাপত্র থেকে শিশু-কিশোর সাহিত্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বইও থাকবে বই-হাটে। জেলায় জেলায় বাংলা বইয়ের চর্চা বাড়াতে প্রচার চালানোর কথাও জানিয়েছেন বাম নেতৃত্ব।

    এর সঙ্গেই বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গুরুত্ব, ইতিহাস ও বিস্তারের কথাও বিশেষ ভাবে তুলে ধরেছেন বাম নেতৃত্ব। এই সূত্রেই সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার সূত্রে সিপিএম নেতা সুজনের কটাক্ষ, “ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাংলার মানুষের জীবন-জীবিকা সব বাংলাতেই। কিন্তু মুর্শিদাবাদের কোনও বাংলাভাষী মহারাষ্ট্রে গেলে তাঁর বাবা-ঠাকুরদার খোঁজ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ঠাকুরদার বা মুখ্যমন্ত্রী তাঁর শংসাপত্রের খোঁজ দিতে পারবেন?”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)