• ব্যবসায়ী অপহরণে এক বছর পরে ধৃত মূল চক্রী
    আনন্দবাজার | ২০ জুলাই ২০২৫
  • চিৎপুরের ব্যবসায়ীকে গয়ায় নিয়ে গিয়ে অপহরণের অভিযোগ সামনে আসার পর থেকে ফেরার ছিল অভিযুক্ত। কলকাতা পুলিশের দল বার বার ভিন্ রাজ্যে গেলেও খালি হাতে ফিরে আসতে হয় তাদের। ঘটনার এক বছর পরে, শুক্রবার গয়ায় কলকাতা পুলিশের হাতে অবশেষে ধরা পড়ল টিঙ্কু পাসোয়ান নামে সেই অভিযুক্ত। শনিবার সকালে তাকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় টিঙ্কুই ছিল মূল চক্রী।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্প্রাপ্য জিনিস কেনাবেচার ব্যবসা করেন চিৎপুরের ওই ব্যবসায়ী। পাশাপাশি, সাপের বিষ সংগ্রহেও পটু তিনি। গত বছরের জুলাই মাসে মূল অভিযুক্ত টিঙ্কু ও তার শাগরেদরা গয়া থেকে একটি দুষ্প্রাপ্য সাপ ধরেছিল। সেই সাপের মুখ থেকে বহু টাকা দামের বিষ বার করতেই চিৎপুরের ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল অভিযুক্তেরা। এর পরে সাপের বিষ বার করতে বিহারে গিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। অগ্রিম দিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বিষ বার করার সময়ে কোনও ভাবে সাপটি মারা যায় বলে অভিযোগ। এর পরে টিঙ্কু ও তার সঙ্গীরা ওই ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে। ব্যবসায়ীর পরিবারের তরফে চিৎপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে গয়া থেকে অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছিলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। ঘটনাস্থল থেকে এক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ পৌঁছনোর আগেই পালিয়ে যায় মূল অভিযুক্ত টিঙ্কু ও তার এক সঙ্গী।

    পুলিশ জেনেছে, ঘটনার পরেই ভিন্ রাজ্যে পালিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্তেরা। এর পরে একাধিক বার কলকাতা পুলিশ এবং চিৎপুর থানার তরফে টিঙ্কুর খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। যদিও তখন তার খোঁজ পায়নি পুলিশ। গোপন সূত্রে টিঙ্কুর গয়ায় যাওয়ার খবর পেয়ে শুক্রবার সেখানে অভিযান চালায় লালবাজার। ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে এক বছর পরে গয়া থেকেই গ্রেফতার করা হয় টিঙ্কুকে। ট্রানজ়িট রিমান্ডে এনে অভিযুক্তকে শনিবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে তিন দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)