২১ জুলাই চলবে, বন্ধ হবে না, এখানে সবাই আসবেন, ধর্মতলায় শহিদ দিবসের সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে বললেন মমতা
বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসের সভা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এবার সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আজ, রবিবার ধর্মতলায় শহিদ দিবসের সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘প্রায় ৩৩ বছর ধরে এখানে অনুষ্ঠানটি হয়। কারণ এখানে অনেকগুলি প্রাণ লুটিয়ে পড়েছিল। এই জায়গাটির একটি গুরুত্ব রয়েছে।’ তারপরেই তৃণমূল নেত্রী ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওরা কাউকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দিত না। আমাদের দাবি ছিল, সচিত্র পরিচয়পত্র। সেই সময় আমাদের বিরাট আন্দোলন হয়েছিল। আমাদের আন্দোলন দমানোর ক্ষমতা ছিল না সিপিএমের। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করতে গিয়ে ওরা এমন ভাবে গুলি চালিয়েছিল যে, ১৩ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। দেড়শো জন পুলিসের গুলিতে আহত হন। প্রায় ৩৩ বছর ধরে এখানেই অনুষ্ঠান হয়, তার কারণ এখানে অনেকগুলি প্রাণ লুটিয়ে পড়েছিল। তাই আমাদের বছরে একটাই অনুষ্ঠান শহিদ স্মরণে আমরা এখানেই করি। এই নিয়ে অনেকের আপত্তি আছে। আমার বক্তব্য, তারা যখন পুলিসের অনুমতি ছাড়া নবান্ন অভিযান করেন, তখন আপত্তি কোথায় থাকে? আমাদের দেখে ওদেরও প্রোগ্রাম করতে হয়। কই আমরা তো ওদের দেখে প্রোগ্রাম করি না! তৃণমূলের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠান চলবে, বন্ধ হবে না। এখানেই সবাই আসবেন। ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের অনুষ্ঠানের জন্য রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায় ও অনেকের ভোগান্তি হয়। সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বাম আইনজীবী সংগঠন। সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আগামী বছর থেকে শহিদ মিনার বা ব্রিগেডের মাঠ বা অন্য কোথাও সভা করা যায় কি না, তা ভাবুন।’ তারপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও এই মামলাটির চূড়ান্ত শুনানি হবে নভেম্বরে।