• ‘আমরা পরিষ্কার করে দিই, অন্য দল অনুষ্ঠানস্থলে পুকুর-ডোবা বানায়’, নাম না করে মোদিকে তোপ মমতার
    প্রতিদিন | ২১ জুলাই ২০২৫
  • ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দুর্গাপুরে মোদির সভার পর অনুষ্ঠানস্থলের বেহাল দশা। তা নিয়ে সরব তৃণমূল। একুশে জুলাইয়ের আগে সভামঞ্চ পরিদর্শনে এসে প্রধামন্ত্রীর নাম না করে সেই ইস্যুতে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    রবিবার ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “আমরা প্রোগ্রাম করে সব জায়গাটা পরিষ্কার করে দিই। অন্য পার্টি প্রোগ্রাম করে পুকুর, ডোবা বানিয়ে চলে যায়। আমরা দায়বদ্ধ।” একুশের সমাবেশে এদিন সকলকে আরও একবার আহ্বান জানান তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে ভরা বর্ষায় সামান্য সমস্যা যে সকলের হতে পারে, সে কথা মাথায় রেখে প্রশাসনকে তাঁর নির্দেশ, “সাধারণ মানুষের কাল একটু সমস্যা হবে। কষ্ট করে অনেকে কাল আসবেন। সকলকে আমার কৃতজ্ঞতা। সকলের সহযোগিতা চাইছি। প্রশাসনকে বলছি, বাস আসলে ৩ কিলোমিটার দূরে দাঁড় করাবেন না। ব্রিগেড জলে ডুবে গিয়েছে। কাদায় গাড়ি আটকে গেলে সমস্যা হবে। শুকনো জমি দেখে নিতে হবে। এই বর্ষা চারিদিকে হচ্ছে। ফ্লোরিডায় দেখেছেন। ওরা এত উন্নয়ন করেছে তাও প্রকৃতি মায়ের কাছে কেউ পারে? এখানে ডিভিসি এত জল ছেড়েছে। সামলানো যায়!”

    উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুর্গাপুরের ইস্পাত কারখানার নেহরু স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জোড়া সভা করেন। মাঠে হ্যাঙার ও বিশাল মঞ্চ করা হয়। মাঠের বিভিন্ন জায়গা খোঁড়াও হয়েছিল। সভা শেষের পর শনিবার দেখা যায় মাঠের বেহাল দশা। বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়ে জল জমে গিয়েছে। সবুজ মাঠের চেহারা প্রায় সম্পূর্ণই বদলে গিয়েছে। খেলার জগতে এই মাঠের গুরুত্ব যথেষ্ট। সভার জন্য মাঠ নষ্ট হল বলে অভিযোগ ওঠে।

    প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর মাঠের অবস্থা একেবারেই ধান জমির আকার নেয়। জল জমে পরিণত হয় জলাজমিতে। এই ইস্যুতেই সরব তৃণমূল। শনিবার তৃণমূলের তরফে প্রতিবাদ জানানো হয়। মাঠের হতশ্রী চেহারার প্রতিবাদে মাঠে গিয়ে ধানের চারা লাগান তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ছিলেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)