সুমন করাতি, হুগলি: পাটনা গুলি কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় বঙ্গ বিজেপির নেতারা। কলকাতা থেকে ৫ জনের গ্রেপ্তারি নিয়ে ফুঁসে উঠলেন তিনি। তাঁর কথায়, “শমীক, সুকান্ত, শুভেন্দুরাই এদের আশ্রয়দাতা।”
গত বৃহস্পতিবার সকালে পাটনার পারস হাসপাতালের আইসিইউতে ঢুকে ২০৯ নম্বর কেবিনে শুয়ে থাকা কুখ্যাত দুষ্কৃতী চন্দন মিশ্রকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি ছোড়ে মূল শুটার তৌসিফ রাজা ও তার চার সঙ্গী। হাসপাতালের বেডেই গুলিতে মৃত্যু হয় চন্দনের। পুলিশ সূত্রের খবর, খুনের পর পাটনার হাসপাতাল থেকে একটি সাদা রঙের গাড়ি করে খুনিরা পালিয়ে যায়। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের একটি টোল প্লাজার সিসিটিভির ফুটেজে ওই গাড়িটির ছবি ধরা পড়ে। সেই সূত্রের খবর পেয়ে রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা হাইওয়ের বেশ কিছু ফুটেজ ধরে জানতে পারে, সেটি পূর্ব কলকাতার আনন্দপুরের একটি নামী বহুতল আবাসনে প্রবেশ করেছে। কিন্তু ওই আবাসনে তল্লাশি চালিয়ে গাড়িটির সন্ধান মেলেনি। সিসিটিভি ফুটেজ এর মাধ্যমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, সেখান থেকে বেরিয়ে গাড়িটি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ফের যায় আনন্দপুরের একটি গেস্ট হাউসে। তার সামনে থেকেই গাড়িটির সন্ধান মেলে।
এরপর গেস্ট হাউসের ভিতর থেকে ৫ আরোহীকে আটক করে এসটিএফ। গেস্ট হাউসের মালিক জানিয়েছেন, এই ৫ জনের সঙ্গে একজন মহিলাও ছিলেন তাঁকেও আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আনন্দপুরে আটক অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনের নাম হরিশ সিং, ইউনিস খান, নিশু তৌসিফ ওরফে তৌফিক। এই ঘটনার দায় এদিন বঙ্গ বিজেপির নেতাদের কাঁধেই ঠেললেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বঙ্গ বিজেপির নেতারাই বলে দেয়, তোরা খুন করে আয়, আমরা তোদের আশ্রয় দেব। এরা সকলেই বিজেপি আশ্রিত গুণ্ডা।”