রাত পোহালেই ২১ জুলাই, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পরিদর্শনে ধর্মতলায় মমতা
প্রতিদিন | ২১ জুলাই ২০২৫
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রাত পোহালেই ২১ জুলাই, তৃণমূলের শহিদ দিবস। ধর্মতলায় চলছে শেষমুহূর্তের প্রস্তুতি। তা খতিয়ে দেখতে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো হাজির হলেন ধর্মতলায়। কথা বলেন অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার সঙ্গে। এদিকে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম পরিদর্শনে গিয়েছেন তৃণমূল সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
একুশে জুলাই শহিদ দিবস বরাবর রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের মেগা ইভেন্ট। এবার আবার ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ একুশ জুলাই। ফলে তার গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। তার তোড়জোড়ও তুঙ্গে। রাত পোহালে, সোমবারই সেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের দিন। মঞ্চ প্রায় প্রস্তুত। ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে তৈরি মঞ্চে বসতে পারবেন একসঙ্গে প্রায় ৬০০ জন। রবিবার বিকেল থেকেই সভামঞ্চ চত্বরে রয়েছেন তাবড় তাবড় নেতারা। খতিয়ে দেখে নিচ্ছেন সবটা। এদিনই ঘড়ির কাঁটায় ৬ টা বেজে ৫ মিনিট নাগাদ ধর্মতলায় পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোজা পৌঁছে যান ভিক্টোরিয়া হাউসের উলটোদিকের মূল মঞ্চে। সেখান থেকেই দলের নেতা ও পুলিশ আধিকারিকদের কাছ থেকে গোটা পরিস্থিতির তথ্য নেন।
উল্লেখ্য, এবার একুশে জুলাই সমাবেশের মূল মঞ্চটি ত্রিস্তরীয় এবং আড়ে-বহরে অনেকটা বড়। ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে তিন ধাপে তৈরি মঞ্চে বসবেন শীর্ষ নেতৃত্ব, অতিথি, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, শহিদ পরিবারের সদস্যরা। প্রথম মঞ্চটি মাটি থেকে ১১ ফুট উঁচু, দ্বিতীয় ও তৃতীয়টির উচ্চতা যথাক্রমে ১২ ও ১৩ ফুট। মঞ্চের দৈর্ঘ্য ৮০ ফুট, প্রস্থ ৪২ ফুট। গোটা মঞ্চ ঘিরে ফেলা হবে দলীয় পতাকা তেরঙ্গার রঙে। আরও জানা যাচ্ছে, তিনটি মঞ্চের প্রথমটিতে থাকবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের প্রথম সারির শীর্ষ নেতারা। দ্বিতীয় মঞ্চে থাকবেন শহিদ পরিবারের সদস্যরা। আর মঞ্চের তৃতীয়ভাগে থাকবেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।