ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ছাব্বিশের আগে তৃণমূলের মেগা ইভেন্ট একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে যে প্রচুর চমকের সম্ভাবনা রয়েছে, সে ইঙ্গিত ছিলই। তবে চমক দেখা গেল তার আগে থেকেই। রবিবার বিকেলে সকলকে অবাক করে দিয়ে ধর্মতলার সভাস্থলে পৌঁছে গেলেন বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। ঘুরে দেখলেন শেষবেলার প্রস্তুতি। মিনিট কুড়ি পর মঞ্চে সাজিয়ে রাখা চেয়ারেও বসতে দেখা গেল তাঁকে। সূত্রের খবর, মঞ্চের পিছনে নেতৃত্বের সঙ্গে বসবেন অনুব্রত। এদিন অবশ্য একুশের সমাবেশ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি তিনি।
শহিদ দিবসকে গুরুত্ব দিয়ে সময়ের আগেই কলকাতায় এসে গিয়েছেন কেষ্ট। রবিবার বিকেল ৫টার কিছুক্ষণ আগে ধর্মতলায় তৃণমূলের মঞ্চের কাছে ব্যারিকেড ঘেরা এলাকায় দেখা গেল তাঁকে। প্রথমে তিনি সভাস্থলে ঢুকতে চাইছিলেন। কিন্তু প্রাথমিকভাবে নিরাপত্তারক্ষীরা বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে ব্যারিকেডের বাইরেই দাঁড়াতে বলেন। সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন কেষ্ট। মিনিট কুড়ে পর সভাস্থলে যাওয়ার অনুমতি মেলে। তারপর তিনি ভিতরে প্রবেশ করে মঞ্চে উঠে চেয়ারে বসেন। সেইসঙ্গে খতিয়ে দেখেন সভার প্রস্তুতি।
এদিন সকালে ধর্মতলার সভাস্থলে দেখা গিয়েছিল বীরভূমের আরেক নেতা তথা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য কাজল শেখ। তিনিও সভাস্থল ঘুরে দেখেন। কাজলকে ঘিরে ধরে দলের যুব কর্মীরা সেলফিও তোলেন। আর বিকেলে সেখানে পৌঁছে গেলেন কোর কমিটির আরেক সদস্য অনুব্রত মণ্ডল। জেলার রাজনীতিতে কেষ্ট-কাজল দ্বন্দ্ব নিয়ে হাজার জল্পনা থাকলেও তাঁরা বরাবর এক হয়ে কাজের কথা বলেছেন। একুশে জুলাইয়ের মতো মেগা ইভেন্টেও দেখা গেল, তাঁরা আগেই কলকাতায় এসে গিয়েছেন।