• ২৬-এর আগে আরও শক্তিশালী তৃণমূল, সমবায়ে বিরোধীদের হারিয়ে জয়ের উল্লাসে কর্মী সমর্থকেরা
    এই সময় | ২১ জুলাই ২০২৫
  • রাত পেরোলেই ২১ জুলাই। তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস। সামনের বছরেই রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সোমবার, ২১ জুলাই ধর্মতলার মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেবেন সেই দিকে সকলের নজর রয়েছে। এরই মধ্যে রবিবার সমবায় নির্বাচনে জয়ের খাতা খুলল তৃণমূল। রবিবার ছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুর শ্রীরামকৃষ্ণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোট। সেখানে সবুজ ঝড়ে খাতাই খুলতে পারল না বিজেপি ও সিপিএম।

    চণ্ডীপুর সমবায়ে মোট আসন সংখ্যা ৪৫টি। সেখানে বিজেপি এবং তৃণমূল ৩৫টি আসনে লড়াই করেছিল। আর সিপিএম লড়েছিল ১০টি আসনে। কিন্তু রবিবার দেখা গেল বিজেপি এবং সিপিএমের সব অঙ্ক উল্টে দিয়ে ৪৫টি আসনেই নিরঙ্কুশ জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলত সিপিএম এবং বিজেপি একটি আসনও পায়নি। ২০১১ সাল থেকে ৫০ বছরের পুরনো এই সমবায়ে পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে তৃণমূল।

    স্থানীয় বিজেপি নেতা পুলককান্তি গুড়িয়ার কথায়, ‘সঠিক পদ্ধতি মেনে ভোট হলে আমরা এই সমবায়ে জয়ী হতাম। আমাদের বেশ কিছু সমর্থককে ওরা ভয় দেখিয়ে, চাপ সৃষ্টি করে ভোট দিতে বাধ্য করেছে।’

    যদিও বিজেপির এই যুক্তিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন চণ্ডীপুর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি সুনীল প্রধান। তিনি বলেছেন, ‘চণ্ডীপুরে বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। যে কারণে সমবায় ভোটে হেরে গিয়ে বিজেপি নেতা প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন। ওনার কথার কোনও গুরুত্ব নেই। এলাকার মানুষ সমবায় পরিচালনার জন্য যোগ্য প্রার্থীদের বেছে নিয়েছেন।’

    কৃষি লোন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর লোন-সহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রতিনিধিত্বের দ্বারা পরিচালিত এই সমবায় ইতিমধ্যে এলাকার মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। আর তাই আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরাই এই সমবায় পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন।

  • Link to this news (এই সময়)