পাটনায় চন্দন মিশ্র খুনে অন্যতম অভিযুক্ত নিশু খান বিরাটিতে এসেছিলেন তাঁর গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করতে। রবিবার তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিতে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। তখনই এক সংবাদমাধ্যমকে এই কথা বলেন তিনি। পাটনার পারস হাসপাতালে শুট আউটের ঘটনায় নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করা হয় পাঁচজনকে। তারপরেই খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল নিশু খানের। আনন্দপুর থেকে তাঁকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ ও বিহার পুলিশের এসটিএফ। প্রসঙ্গত, চন্দন খুনে মূল অভিযুক্ত বাদশার ওরফে তৌসিফ রাজার ভাই নিশু খান।
সংবাদমাধ্যমকে নিশু বলেন, শুক্রবার বিহার থেকে তাঁরা গাড়িতে কলকাতায় এসেছিলেন। প্রথমে নিউটাউনের সাপুরজিতে চলে যান। পরে সেখান থেকে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিরাটিতে। তারপর পার্ক স্ট্রিট চলে যান। কিন্তু পার্ক স্ট্রিটে থাকার জন্য ঘর না পেয়ে আনন্দপুরের একটি গেস্ট হাউজে গিয়ে ওঠেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে নিশুর দাবি, চিকিৎসার জন্য তিনি দিল্লি যাচ্ছিলেনঠ। তার আগে কলকাতায় এসেছিলেন বান্ধবীকে নিতে। নিশুর সঙ্গে একজন মেল নার্সিং স্টাফ ও একজন কেয়ার টেকারও ছিলেন বলে দাবি।
প্রসঙ্গত, পাটনার হাসপাতালে চন্দন মিশ্রকে শুট আউটের ঘটনায় গ্যাং ওয়ার রয়েছে বলে দাবি পুলিশ সূত্রের। আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরুলিয়া জেলে বন্দি ওঙ্কারনাথ সিংহ ওরফে শেরুর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই শত্রুতা রয়েছে চন্দন মিশ্রের। নানা কারণে সেই শত্রুতার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। প্রথম প্রথম একই দলে কাজ করতেন দুজনে। তার পর তোলাবাজির বখরা নিয়ে ঝামেলার জেরে দল আলাদা হয়। তৈরি হয় দুটো আলাদা গ্যাং। দুই গ্যাংয়ের তোলাবাজির দাপটে রীতিমতো ভয়ের জায়গা হয়ে উঠেছিল বক্সার। পরে শেরু সিংহ গ্রেফতার হয় পুরুলিয়াতে এক ডাকাতির ঘটনায়।
শেরু ও চন্দনের মধ্যে ঝামেলা আরও বাড়ে যখন চন্দন জানতে পারেন শেরু তাঁর বোনের সঙ্গে প্রেমে মত্ত। নিম্নবর্ণের শেরুকে মেনে নিতে পারেননি চন্দন। অন্যদিকে জেলে বন্দি থাকলেও চন্দন ১৫ দিনের প্যারোলে মুক্তি পায়। কিন্তু শেরু আবেদন করলেও তা খারিজ হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চন্দন অনেকদিন ধরেই টার্গেট হয়ে উঠেছিল শেরুর। কিন্তু প্যারোল না পাওয়ায় শেষমেশ তৌসিফকে সুপারি দেওয়া হয় খুনের।