তিন সপ্তাহ ধরে বন্ধ জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের এক্স-রে, দুর্ভোগ
বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: তিন সপ্তাহ ধরে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের অধীন সদর হাসপাতালে বন্ধ ডিজিটাল এক্স-রে পরিষেবা। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতালের এক্স-রে রুমের সামনে কাগজে লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘মেশিন খারাপ, এক্স-রে করাতে চাইলে সাত দিন পর যোগাযোগ করতে হবে।’ বিজ্ঞপ্তির নীচে অবশ্য তারিখ দেওয়া নেই। দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের অভিযোগ, গত তিন সপ্তাহ ধরে সদর হাসপাতালের এক্স-রে রুমের দরজায় ওই বিজ্ঞপ্তি সাঁটানো রয়েছে। আদৌও কবে এক্স-রে মেশিন ঠিক হবে, তা বলতে পারছেন না হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা।
এনিয়ে জানতে চাওয়া হলে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের সুপার কল্যাণ খাঁ বলেন, আমাদের মেডিক্যালের অধীন সদর হাসপাতালে পিপিপি মডেলে এক্স-রে পরিষেবা চলে। মেশিন খারাপ হয়ে যাওয়ায় আপাতত ওই পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে যে সংস্থার মউ রয়েছে, কলকাতা থেকে তাদের ইঞ্জিনিয়ার এসে দেখে গিয়েছেন। যতদূর শুনেছি, কোনও যন্ত্রাংশ খারাপ হয়ে গিয়েছে। সেটি বদলাতে হবে। সদর হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন বিকল থাকলেও জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের অধীন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এক্স-রে পরিষেবা চালু আছে।
যদিও রোগীদের প্রশ্ন, সদর হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পর ৩ কিমি দূরে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যেতে হবে এক্স-রে করানোর জন্য? এটা করতে গেলে আসা-যাওয়ার টোটো ভাড়া লাগবে মাথাপিছু ৬০ টাকা। সেই সঙ্গে সময়ের বিষয়টি তো আছেই। এরপরও যাঁরা জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের অধীন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে এক্স-রে করাচ্ছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা আবার অন্যরকম। অভিযোগ, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এক্স-রে করার পর যে প্লেট দেওয়া হচ্ছে তা একেবারে অস্পষ্ট। ওই প্লেট নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে গেলে তাঁরাই বাইরে থেকে এক্স-রে করিয়ে আনার কথা বলছেন। সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন, প্লেট অস্পষ্ট হওয়ায় কিছু বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। দিনের পর দিন এমনটা চললেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ রোগী ও তাঁদের পরিজনদের। নিজস্ব চিত্র