নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: চারদিন পরও পরিযায়ী পাখি শিকারকাণ্ডে অধরা অভিযুক্তরা। এমন অবস্থায় সন্দেহভাজন চোরাশিকারিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করিয়েছে বনদপ্তর। রায়গঞ্জ বনবিভাগের আবেদনের ভিত্তিতেইএই আইনি পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। গত ১৭ জুলাই ৫০ টিরও বেশি ইগ্রেট প্রজাতির পরিযায়ী পাখি শিকার নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ইটাহারের মারনাইতে। স্থানীয় মানুষজন, পরিবেশপ্রেমীদের নজরে বিষয়টি আসতেই তাঁরা সরব হন। মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ে পালায় অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বনদপ্তরের আধিকারিকরা। শুরু হয় তদন্ত।
বনদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে খবর,কয়েকবছর ধরেই কুলিক পক্ষীনিবাসের পাশাপাশি পরিযায়ী দল আস্তানা গাড়ে রায়গঞ্জ শহর ও সংলগ্ন এলাকার বহু গাছে। চোরাশিকারীদের নজর এখন সেই পরিযায়ীদের উপর। চারদিন আগে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন মহিলা ও পুরুষ ইটাহারের মারনাই এলাকায় ঢুকে কয়েকটি গাছে উঠে ৫০ টিরও পরিযায়ী পাখি শিকার করে। সেগুলিকে মেরে ফেলে ওই শিকারি দলটি। তখন স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে শিকারি দলটি এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। জানা গিয়েছে,অভিযুক্তরা মালদহের চাঁচল থেকে ওই এলাকায় ঢুকেছিল শিকার করতে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তরা অধরা। রায়গঞ্জের ডিএফও ভূপেন বিশ্বকর্মা বলেন, আমরা অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে জেলা আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে আদালত। জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রি সরকার বলেন,বনবিভাগের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের ধরতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ফাইল চিত্র