গাজোলে মহানন্দায় বাঁধ নির্মাণে জট কাটার ইঙ্গিত, আলোচনার পথে সুরাহা
বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: গাজোলের আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের মহানন্দা নদী সংলগ্ন রাজারামচক এলাকায় অনুমোদিত নতুন বাঁধ তৈরিতে জট কাটার ইঙ্গিত। অভিযোগ, গ্রামবাসীদের একাংশ ভাঙনপ্রবণ এলাকা থেকে সরছিলেন না। সেজন্য পুরোদমে বাঁধের কাজ করা যাচ্ছিল না। সমস্যা মেটাতে শনিবার বিকেলে গাজোলের বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাসের নেতৃত্বে একটি দল ওই এলাকায় গিয়েছিল। ছিলেন জয়েন্ট বিডিও সুব্রত শ্যামল, বিপর্যয় মোবাবিলা দপ্তরের আধিকারিক সৌরভ দত্ত, সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার সহ অন্যরা। ব্লক প্রশাসনের কর্তারা স্থানীয় একজনের বাড়িতে বৈঠকের পর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর গ্রামবাসীদের একাংশ জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছেন। প্রশাসনও ভূমিহীনদের একাংশকে পাট্টা, বাংলার বাড়ি সহ অন্য সুযোগসুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গ্রামবাসীদের একাংশ নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে সরে গেলেই সেখানে বাঁধের কাজ জোরকদমে এগিয়ে যাবে বলে প্রশাসন মনে করছে। গাজোলের জয়েন্ট বিডিও বলেন, গ্রামবাসীদের একাংশ সরতে চাইছিলেন না। তাঁদের অভাব, অভিযোগ আমরা শুনেছিলাম। এদিন সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত কাজ এগিয়ে যাবে।
ব্লক প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহানন্দার ধারে আলালের রাজারামচক এলাকায় ভাঙন সমস্যা বহু বছরের। সেই সমস্যা মেটাতে সেচ দপ্তর এগিয়ে আসে। প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ওই এলাকায় ৭০০ মিটারের বেশি বাঁধ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। নদীর তীরে কাজ কয়েক মাস আগেই শুরু হয়েছে। কাজের জায়গায় কিছু বাড়ি থাকায় সমস্যা দেখা দেয়। গাজোলে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিক বলেন, ওই জায়গা গ্রামবাসীরা তাঁদের বলে জানিয়েছিলেন। সেখান থেকে না সরলে এই বর্ষায় তাঁদের বাড়ি, ঘর হয়তো এমনিতেই ভেঙে যাবে। সেকথা বুঝিয়ে বলা হয়েছে। কিছু পরিবার সেখান থেকে না সরলে কাজ শুরু করা যাবে না।
গ্রামবাসী শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের আত্মীয়দের নামে জায়গাগুলি রেকর্ড রয়েছে। বিডিও এসেছিলেন। প্রশাসনের কর্তাদের জানানো হয়েছে, বিকল্প কিছু করে দিতে হবে। তাঁরা পাশের থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিছুদিনের মধ্যে জায়গা খালি করে দেওয়া হবে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে প্রশাসনের আধিকারিকদের বৈঠক।-নিজস্ব চিত্র