আজ শহিদ সমাবেশে গড়বেতা-৩ ব্লকের ১০ হাজার কর্মী ও সমর্থক
বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: আজ, সোমবার ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশে গড়বেতা-৩ ব্লক থেকে প্রায় ১০ হাজার কর্মী-সমর্থক উপস্থিত থাকবেন। তাঁদের জন্য প্রায় ৪০টি বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রায় এক হাজার কর্মী-সমর্থক ট্রেনে চেপে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা দেবেন। ২১ জুলাই ঘিরে ব্লক এলাকার কর্মী-সমর্থকরা উন্মাদনায় ভাসছেন। তৃণমূল নেতারা জানাচ্ছেন, এবছর রেকর্ড সংখ্যক কর্মী-সমর্থক কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী তথা জননেত্রীর ভাষণ শোনার জন্য সকলেই মুখিয়ে আছেন। গত ১৮জুলাই স্থানীয় কড়সা পঞ্চায়েত এলাকায় শহিদ দিবসের সমর্থনে বিশাল মিছিল করা হয়েছিল। মিছিলে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ সহ প্রথমসারির নেতারা। জেলা সভাপতি সুজয়বাবু বলেন, প্রতিটি ব্লক থেকেই কাতারে কাতারে মানুষ ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা দেবেন। রবিবার বিকেলের পর থেকে বিভিন্ন ব্লক থেকে মানুষ যেতে শুরু করেছেন। দলের দীর্ঘদিনের ইতিহাস রয়েছে। সেই ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না।
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, সেইসময় আমাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই কোনওদিন ভোলার নয়। ২১জুলাই নিয়ে আবেগ কর্মীদের মধ্যে রয়েছে। এই এলাকার মানুষ সিপিএমের অত্যাচার কোনওদিন ভুলতে পারবে না। গড়বেতা-৩ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ বিরোধী শিবিরের মুখ আর মুখোশ আলাদা হয়ে গিয়েছে। দলের এক নেতা বলেন, ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে সারা বছর ধরেই নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। এলাকার তৃণমূল কর্মীরা সমস্যায় পড়লে নেতারা পাশে দাঁড়ান। এরফলে কর্মীদের আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। একইসঙ্গে এই জেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। এরফলে নির্বাচনে মানুষ উন্নয়নের পক্ষেই রায় দিচ্ছেন। কড়সা অঞ্চল সভাপতি মইদুল খান বলেন, তৃণমূল মানেই উন্নয়ন। মানুষের পাশে থাকাই আমাদের মূল কর্তব্য।-নিজস্ব চিত্র