• বন্যা পরিস্থিতি সত্ত্বেও শহিদ সমাবেশে যাচ্ছেন গড়বেতা-১ ব্লকের বহু কর্মী
    বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: গড়বেতা-১ ব্লকে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সমস্যায় পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। তা সত্ত্বেও কয়েক হাজার মানুষ ধর্মতলার শহিদ সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। রবিবার রাতে এই ব্লক থেকে বহু কর্মী-সমর্থক কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন তা শুনতে মুখিয়ে সকলে।

    গত ১৮জুলাই গড়বেতা-১ ব্লকে সুবিশাল মিছিল করা হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, ব্লক তৃণমূল সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ, মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি অসীম ওঝা সহ কয়েক হাজার কর্মী ও নেতারা। রবিবার নেতা-কর্মীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করে ব্লক নেতৃত্ব। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, সেদিনের স্মৃতি আজও টাটকা। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলাম। জননেত্রীর দেখানো পথেই সকলকে চলতে হবে। কে কী দায়িত্ব পেল, সেটা বড় বিষয় নয়। বরং দলের পাশে থাকাটাই মূল বিষয়। 

    ব্লক তৃণমূল সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি না হলে আরও বিপুল সংখ্যক মানুষ কলকাতা যেতেন। এই এলাকায় চাষের ক্ষতি হয়েছে। বাড়ি-ঘর ভেঙেছে। কিন্তু এরপরও মানুষ যাচ্ছেন। অনেকে না গেলেও টিভির পর্দায় চোখ রাখবেন। একসময় গড়বেতা-১ ব্লক সিপিএমের গড় ছিল। তাদের দাপটে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে কথা বলতে ভয় পেতেন। এমনকী রাজনৈতিক কর্মসূচিও লুকিয়ে করতে হতো। সিপিএম বা সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বেধড়ক মারধর চলত। তবে সরকার বদলের পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই ব্লক এলাকার মানুষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। এরফলে গ্রামীণ অর্থনীতিরও বদল হয়েছে। জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, এই এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি নেতাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং রাস্তায় ছিলেন আমাদের নেতারা।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)