জায়ান্ট স্ক্রিন থেকে সহায়তা ক্যাম্প, আগের রাতেই হুগলি জেলার নানা প্রান্ত থেকে মানুষ কলকাতামুখী
বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: ২১ জুলাইয়ের সভার জন্য হুগলিতে নানারকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কর্মীদের সুবিধার জন্য হুগলি জেলার নানা স্থানে ক্যাম্প করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। হুগলির মাইতিপাড়া, ডানকুনি টোল, সিঙ্গুরসহ অনেক জায়গায় দূরদূরান্তের কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যশিবির ও জলযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হুগলির চণ্ডীতলার মাইতিপাড়াসহ একাধিক জায়গায় উৎসাহী কর্মীরা সোমবারের শহিদ সভার জায়ান্ট স্ক্রিনও বসিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে হুগলি থেকে কলকাতার সভাস্থল বিশেষ দূরে নয়। তারপরেও রাত থেকেই নেতা, কর্মীদের কলাকাতামুখী হওয়ার উৎসাহ দেখা গিয়েছে। হুগলির জিটি রোড ও দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েসহ কিছু জায়গায় আজ, সোমবার যানজট হওয়ার আশঙ্কা আছে। এই পরিস্থিতি যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে তৎপর হয়ে উঠেছে প্রশাসনও।
হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অসীমা পাত্র বলেন, ২১ জুলাই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে একটি বিশেষ দিন। হুগলি থেকে মূলত, ট্রেন ও সড়কপথে নেতাকর্মীরা সকলে কলকাতা যাবেন। জেলাজুড়ে কর্মী মহল্লায় ব্যাপক উৎসাহ আছে। সেই নিরিখে বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক লক্ষ মানুষের জমায়েত হতে পারে। মূলত সোমবার ভোর বা সকাল থেকে কর্মীদের যাতায়াত শুরু হবে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই উৎসাহী কর্মীরা রাতেই কলকাতার দিকে রওনা হচ্ছেন, এমনও তথ্য মিলেছে। সিঙ্গুরের বিধায়ক ও মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে কর্মীদের জন্য ক্যাম্প করছি আমরা। রবিবার বিকেলের পরেই সমস্ত ক্যাম্প চালু করে দেওয়া হয়েছে। হুগলি জেলা পরিষদের মেন্টর তথা চণ্ডীতলার জেলা পরিষদ সদস্য সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, মাইতিপাড়ায় আমরা জায়ান্ট স্ক্রিনে ধর্মতলার সভা দেখানোর ব্যবস্থা করেছি। মাইতিপাড়া ও ডানকুনিতে কর্মীদের সুবিধার জন্য দুটি বিশেষ ক্যাম্প রাখা হয়েছে। চন্দননগর পুলিস কমিশনারেট এবং গ্রামীণ পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্মতলার দিকে বিপুল সংখ্যায় গাড়িঘোড়া যাবে। মিছিল যাবে। এই পরিস্থিতিতে যানজট এড়াতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জেলার চিহ্নিত কিছু জায়গার জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। নিজস্ব চিত্র