• ৩০ হাজার কর্মী-সমর্থকের ভিড় জমজমাট সল্টলেক বইমেলা প্রাঙ্গণ
    বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: কেউ এসেছেন রাতের ট্রেনে। কারও ট্রেন শহরে ঢুকেছে কাকভোরে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি থেকে দিনাজপুর, মালদহ—উত্তরবঙ্গের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের গন্তব্য একটাই। সল্টলেকের বইমেলা প্রাঙ্গণ। সেখানকার বিস্তীর্ণ অঙ্গনে লেগেছে বড় বড় হ্যাঙ্গার। খোলা হয়েছে ক্যাম্প। জায়গায় জায়গায় সাঁটানো হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নাম। রবিবার বিকেল নামতে না নামতেই সেখানে হাজির ৩০ হাজারের বেশি কর্মী-সমর্থক। কাঁধ থেকে ব্যাগ নামিয়েই সবাই ভিড় জমাচ্ছেন অস্থায়ী শহিদ বেদির সামনে। চলছে ছবি ও সেল্ফি তোলার ধুম। মেলা প্রাঙ্গণের বাইরে কার্যত মেলা বসে গিয়েছে। কী নেই সেখানে! বই থেকে বারমুডা, ব্যাগ থেকে বাসনপত্র, মায় আংটি, তাবিজের দোকানও। সেখানে বসা জ্যোতিষীকে হাত দেখিয়ে ভাগ্য পরীক্ষা করিয়ে নিচ্ছেন বহু তৃণমূলকর্মী।

    ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবস ও ধর্মতলার জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য একদিন আগেই শহরে পৌঁছে গিয়েছেন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহের তৃণমূল কর্মীরা। এদিন বিকেল থেকে বইমেলা প্রাঙ্গণ যেন এক টুকরো উত্তরবঙ্গ! হাজার হাজার কর্মীর থাকা-খাওয়ার সুবন্দোবস্ত করা হয়েছে দলের তরফে। খাবারের পৃথক জায়গা, মেডিক্যাল ক্যাম্প, অনুসন্ধান কেন্দ্র থেকে শৌচালয়—আয়োজনে কোনও খামতি রাখেনি দলীয় নেতৃত্ব। প্রস্তুত রাখা হয়েছে দমকলের গাড়িও। বইমেলার সময় যেখানে গিল্ডের অফিস হয়, সেই গেটের সামনেই এবার তৈরি করা হয়েছে শহিদ বেদি। ২১ জুলাইয়ের ১৩ জন শহিদের জন্য ১৩টি বেদি তৈরি করা হয়েছে। উপরে পুরনো ছবির কোলাজ, যা অলিখিত ফটোজোন হয়ে উঠেছে। 

    বইমেলা প্রাঙ্গণের বাইরে মিলছে জামা-কাপড়, থালাবাসন, ঘর সাজানোর নানা সামগ্রী থেকে নানারকম স্টেশনারি দ্রব্যও। বই বিক্রি হচ্ছে ৪০ শতাংশ ছাড়ে। ফুচকা, ঘুগনি, চাট সহ খাবারের একাধিক দোকান। আংটি, তাবিজ, কবজের দোকানও দেখা গেল। সেখানে চলছে হাত দেখানোও। মাত্র ১০ টাকা দিয়ে একবার ভাগ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করছেন না অনেকেই। আজ, সোমবার সকাল ৮টা থেকে উত্তরবঙ্গের কর্মীদের বাসে করে শিয়ালদহ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে তাঁরা মিছিল করে পৌঁছবেন ধর্মতলায়। রবিবার বিকেলে বইমেলা প্রাঙ্গণে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সরেজমিনে পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন তিনি। বইমেলা প্রাঙ্গণের যাবতীয় ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা 

    রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ থেকে ৩০ হাজার কর্মী বিকেলের মধ্যেই হাজির হয়ে গিয়েছেন। আরও আসছেন। আমরা সবার জন্য সুব্যবস্থা করেছি। বাসে করেই কর্মীদের শিয়ালদহে পৌঁছে দেওয়া হবে।’ ছবি: কুমার বসু
  • Link to this news (বর্তমান)