প্রশিক্ষণ নিয়ে মাছ চাষ করে স্বনির্ভর হয়ে উঠছে নামখানার আদিবাসী পাড়া
বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হচ্ছে নামখানার পাতিবুনিয়ার আদিবাসী পাড়া। জাতীয় মৎস্য চাষি দিবস উপলক্ষ্যে এই তথ্য প্রকাশ করল কাকদ্বীপের কেন্দ্রীয় নোনা জলজীব পালন অনুসন্ধান সংস্থা। জানা গিয়েছে, পাড়ায় ১৭টি আদিবাসী পরিবার রয়েছে। ১৫টি পরিবারকে প্রশিক্ষণ দিয়ে মাছ চাষের ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল। তাঁরা নিজেদের পুকুরে রুই ও কাতলা মাছ চাষ করেছিলেন। এক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, প্রতিটি পরিবারই লাভবান হয়েছে।
স্থানীয় মৎস্য চাষি মঙ্গল টুডু বলেন, ‘আগেও পুকুরে বিভিন্ন মাছ চাষ করতাম। কিন্তু লাভ করতে পারতাম না। বেশিরভাগ সময়ে ক্ষতির মুখে পড়তে হতো। সেই কারণে মাছ চাষ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পরে কাকদ্বীপের কেন্দ্রীয় মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর আবারও পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেছি।’ চাষিদের অনেকেই জানিয়েছেন, মাস কয়েক আগে প্রায় ৭০০ বর্গমিটার পুকুরে ৭০০ পিস রুই ও কাতলা মাছের পোনা ছাড়া হয়েছিল। এই মাছ বাজারে বিক্রি করলে সব খরচ বাদ দিয়ে আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় নোনা জলজীব পালন অনুসন্ধান সংস্থার কাকদ্বীপ শাখার অধ্যক্ষ ও প্রধান বিজ্ঞানী দেবাশিস দে বলেন, ‘এই পাড়ার আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত পরিবারগুলি আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠছে। বর্তমান তাঁরা মিষ্টি জলের মাছ চাষ করছেন। ভবিষ্যতে নোনা জলেও মাছ চাষের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কাঁকড়া চাষের ক্ষেত্রেও তাঁদের আগ্রহ রয়েছে। এবার এই চাষগুলির ক্ষেত্রেও তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পরিবারগুলি যদি সঠিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করেন, তাঁরা নিশ্চিতভাবে লাভবান হবেন।’