বারুইপুর থেকে রামনগর ও মদারাটমুখী রাস্তায় নেশাখোরদের দাপট, অসন্তোষ
বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, বারুইপুর: খুঁটি আছে, কিন্তু বিদ্যুৎ নেই। এই সুযোগে সন্ধ্যার পর থেকে বাড়ছে মদ্যপ ও গাঁজাখোরদের দাপাদাপি। বারুইপুর পুরসভা এলাকা থেকে শুরু করে মদারাট ও রামনগর ১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকা পর্যন্ত একই অবস্থা। কাউন্সিলার, পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধানদের জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। স্বভাবতই ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। বারুইপুর পুলিস জেলার এক আধিকারিক বলেন, পুলিসি টহল আরও বাড়ানো হবে।
বারুইপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চাননতলা মোড়। এখান থেকে একটি রাস্তা সোজা চলে গিয়েছে মদারাটের দিকে। আরেকটি রাস্তা গিয়েছে বারুইপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দত্তপাড়ার দিকে। এই রাস্তার মোড়েই রয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। কিন্তু ওই খুঁটিতে আলো জ্বলে না দীর্ঘদিন। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে টোটোচালক— সকলেই কাউন্সিলারকে বারংবার জানালেও তাতে লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীর কথায়, সন্ধ্যা নামলেই মদের আসর বসে এই মোড়ে। তাদের দৌরাত্ম্যে এই মোড় দিয়ে যাতায়াত করতে অসুবিধা হয় সাধারণ মানুষের বিশেষ করে মহিলাদের। স্থানীয় কাউন্সিলার সঙ্গীতা কয়াল বলেন, আলো লাগানোর জন্য পুরসভাকে বলা হয়েছে। আবার মদারাট পঞ্চায়েতের আটঘরা ওষুধের দোকান মোড় থেকে বলবন যাওয়ার রাস্তার দু’দিকেই বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। অথচ তাতে আলো জ্বলে না। রাস্তার হালও খারাপ।
এই রাস্তার একদিকে মদারাট পঞ্চায়েত, উল্টোদিকে রামনগর ১ নম্বর পঞ্চায়েত। সন্ধ্যার পর এই রাস্তা পড়তে যেতে ভয় পান পড়ুয়া, মহিলারা। রাস্তায় যত্রতত্র বসে মদ, গাঁজার আড্ডা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, একবার ওই খুঁটিতে আলো লাগানো হয়েছিল বটে, কিন্তু মদ্যপদের দল সেই আলো ভেঙে দিয়েছে। এক গৃহবধূ বলেন, রাস্তার হাল যেমন খারাপ, তেমনই অবস্থা লাইট পোস্টগুলির। সন্ধ্যার পর অন্ধকার রাস্তা দিয়ে ছেলেমেয়েদের একা পড়তে পাঠাতে ভয় করে। এই এলাকায় গাঁজাখোরদের উপদ্রব বেশি। পঞ্চায়েতকে বহুবার বলা সত্ত্বেও কথা কানে তোলেননি কর্তারা।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য দীপঙ্কর নস্করের যুক্তি আবার আজব। তিনি দায়িত্ব এড়িয়ে বলেন, এই রাস্তা দু’টি পঞ্চায়েতের অধীন। কে আলো লাগাবে, তা নিয়ে সমস্যা আছে। তাই এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত প্রধানরা বলতে পারবেন। উল্টোদিকে মদারাট পঞ্চায়েতের প্রধান রক্ষিত নস্কর বলেন, আলো লাগানো হবে। তবে আলো না থাকায় কারও সমস্যা হচ্ছে বলে কেউ অভিযোগ করেননি। রামনগর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান মধুমিতা দেব বলেন, রাস্তার অবস্থা খারাপ জানি। আলোর জন্য কিছু খুঁটিও বসাতে হবে। আগামী দিনে যাতে আলোর ব্যবস্থা করা যায়, তা দেখব। ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের বক্তব্য, বড়সড় বিপদ না ঘটলে, টনক নড়বে না পঞ্চায়েতের।