• একুশের মঞ্চে থাকছেন এনআরসি নোটিশ পাওয়া দিনহাটার উত্তম
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২১ জুলাই ২০২৫
  • পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসমের ফরেন ট্রাইব্যুনালের পাঠানো নাগরিকত্ব সংক্রান্ত নোটিশ পাওয়া রাজবংশী সম্প্রদায়ের সদস্য উত্তম ব্রজবাসী থাকছেন ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের মঞ্চে।

    কয়েকদিন আগে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে উত্তম ব্রজবাসীর প্রসঙ্গ তুলেছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা রাজবংশী সম্প্রদায়ের উত্তমকুমার ব্রজবাসীকে বিদেশি বা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে হেনস্থা করছে অসমের ফরেনার্স ট্রাইবুনাল। গত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি বাংলায় বসবাস করেন। তা সত্ত্বেও এই কাজ করা হচ্ছে। এভাবে ভারতের সংবিধানকে ধ্বংস করা হলে বাংলা চুপ করে থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেছেন, উত্তমবাবুর অস্থায়ী ঠিকানা কোচবিহারে হলেও তিনি আদতে অসমের বাসিন্দা। উত্তমবাবুর আইনজীবীরা আদালতে তাঁর রাজবংশী পরিচয় স্পষ্টভাবে পেশ করেননি। এই কারণে তাঁকে নোটিশ ধরানো হয়েছে।
    আজ শহিদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে দেশজুড়ে বাঙালিদের হেনস্থা নিয়ে সরব হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনআরসি চালুর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে সেই ইস্যুতেও ক্ষোভ উগরে দিতে পারেন তিনি। সেক্ষেত্রে মঞ্চে উত্তম ব্রজবাসীর উপস্থিতি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একটি চিঠি পান কোচবিহার জেলার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসী। প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও পরে তিনি জানতে পারেন যে চিঠিটি এনআরসির নোটিশ। গুয়াহাটি থেকে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। নোটিশে লেখা ছিল, আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে তাঁকে অসমের কামরুপে জেলা পুলিশের কাছে হাজিরা দিতে হবে। সেখানে তাঁকে ভারতীয় হওয়ার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। মূলত অসম থেকে এসেছেন উত্তমকুমার।
    এরপর পাঁচের পৃষ্ঠায়
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)