কলকাতায় যখন তৃণমূলের সমাবেশ তখন বিজেপির যুব মোর্চার ডাকে সোমবার শিলিগুড়িতে ‘উত্তরকন্যা অভিযান’। যদিও কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ, অভিযান নয়, মিছিল এবং জনসভা করতে পারে যুব মোর্চা। নামের বদল না হলেও দলীয় স্তরেও সেই প্রস্তুতি নিয়েছে গেরুয়া শিবির। উত্তরকন্যার পাশেই চুনাভাটির একটি মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের। থাকার কথা দলের উত্তরবঙ্গের বিধায়ক, সাংসদ ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের নেতাদের একাংশের।
এ দিন চুনাভাটিতে প্রস্তুতি চলেছে জোরকদমে। শেষ পর্বের প্রস্তুতি দেখতে যান রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। তিনি বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের বঞ্চনার প্রতিবাদে উত্তরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। উত্তরকন্যা অভিযান তারই অঙ্গ৷ রাজ্যে নারী নিরাপত্তা এবং কন্যা সুরক্ষার দাবিতে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন চলবে।’’ তিনি জানান, প্রতিনিধিদল উত্তরকন্যায় যাবে কি না, তা এখনও ঠিক হয়নি।
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মণ, বাপি গোস্বামী সভার মাঠ ঘুরে দেখে উত্তরের প্রত্যেক বিধায়ক এবং সাংসদের সভায় উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন। মাঠটিতে একটি শেড তৈরি হয়েছে। ভিতরে রয়েছে মঞ্চ। এই মঞ্চেই থাকার কথা মৃত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের পরিবারের। ২০২০ সালে দলের উত্তরকন্যা অভিযানে গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়। উলেনের পরিবারের থাকার কথা জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বাপি গোস্বামী।
ওই কর্মসূচি ঘিরে পুলিশও প্রস্তুতি নিয়েছে। রবিবার বিকেলে ডিসি, এসিপি-সহ সব আইসি, ওসি, অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেছেন পুলিশ কমিশনার। গোটা কর্মসূচি আটটি ভিডিয়ো ক্যামেরা এবং চারটি ড্রোন দিয়ে রেকর্ডিং করা হবে। শিলিগুড়ি পুলিশ প্রথমে অনুমতি না দিলেও হাই কোর্টের নির্দেশে সভা, মিছিল হচ্ছে।
দলের দাবি, হাইকোর্ট ১০ হাজার মানুষের জমায়েতের অনুমতি দিয়েছে।দলীয় সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের প্রত্যেক জেলা থেকে নেতা, কর্মীরা আসছেন। দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা থেকেও কিছু লোক মিছিলে থাকবেন। রবিবারই কিছু নেতা, কর্মী শিলিগুড়িতে চলে এসেছেন। গত শনিবার মঞ্চ তৈরির সময় বাধার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশে সভা করতে হচ্ছে। তার পরেও বাধা হলে মানুষ প্রতিরোধ করবেন।’’