উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। প্রতিবাদে সোমবার সকালে দীর্ঘ ক্ষণ যশোর রোড অবরোধ করে রাখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে। প্রায় দু’ঘণ্টা পরে রাস্তার ওই অংশে যান চলাচল শুরু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন বছর সাতাশের এক যুবক। মধ্যমগ্রামের নজরুল সরণির কাছে রাস্তা পারাপারের সময় একটি পিকআপ ভ্যান ধাক্কা মারে তাঁকে। গুরুতর আহত অবস্থায় দীর্ঘ ক্ষণ ওই ব্যক্তি রাস্তায় পড়ে থাকেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, “আহত যুবককে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে কোনও ব্যবস্থা নেননি কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার এবং পুলিশ।’’ পরে মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
তার পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। যশোর রোডে অবরোধ শুরু হয়। ট্র্যাফিক বুথেও ভাঙচুর চালানো হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ট্র্যাফিক পুলিশ দ্রুত বেগে ছোটা ট্রাক বা অন্য গাড়িগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার কোনও ব্যবস্থা নেয় না। ফলে প্রতি দিন যশোর রোডে কোনও না কোনও দুর্ঘটনা ঘটছে। অবরোধ চলায় পর পর দাঁড়িয়ে যায় একের পর এক গাড়ি। গন্তব্যে পৌঁছোতে অসুবিধায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। আটকে প়়ড়ে ধর্মতলামুখী তৃণমূলকর্মীদের বাসগুলিও।
অবরোধ তুলতে ঘটনাস্থলে যায় মধ্যমগ্রাম থানায় বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং বারাসতের এসডিপিও। স্থানীয়দের বুঝিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা পরে অবরোধ তোলে পুলিশ। কী কারণে দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ।