বাঙালি নিয়ে তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের মুখে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু ‘মুসলিম বাঙালি’র কথাই ভাবেন। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজার মধ্যে এ বার হিমন্তের সুরেই মমতাকে নিশানা করে অসমের ডেপুটি স্পিকার নুমাল মোমিন দাবি করলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দেশের একাংশকে ‘ইসলামিক রাষ্ট্রে’ পরিণত করতে চান! এমন মন্তব্যকে ‘কুরুচিকর’ বলে পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
অসমের ডেপুটি স্পিকার বলেছেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সহাবস্থানের আহ্বান জানিয়ে অসম, বাংলা এবং গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছেন মমতা!” প্রসঙ্গত, মমতা শনিবার এক্স হ্যান্ড্লে পোস্ট করে অভিযোগ করেছিলেন, অসমে বিজেপি সরকার বিভাজনের রাজনীতির সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিনি এ-ও বলেছিলেন, ‘যে সব নাগরিক সব ভাষা ও ধর্মকে সম্মান জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে, তাঁরা মাতৃভাষার পক্ষে অবস্থান নিলে তাঁদের হুমকি দেওয়া বা নিপীড়ন করা সংবিধানবিরোধী ও বৈষম্যমূলক।’ অসমের মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা দাবি করেছিলেন, ভাষাভিত্তিক কোনও বিভাজন সে রাজ্যে নেই। তার সঙ্গেই মমতার বিরুদ্ধে ‘তোষণে’র রাজনীতির অভিযোগও তুলেছিলেন। এই সূত্রেই ডেপুটি স্পিকার মোমিনও বলেছেন, “মমতার মন্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয়। এক জন অসমবাসীও এই কথা মানবেন না। বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের অসমে সহাবস্থানের পক্ষে কথা বলে তিনি কি প্রমাণ করতে চাইছেন? ওঁর উচিত আগে নিজের রাজ্যে হিন্দু-স্বার্থ রক্ষা করা।”
অসমের ডেপুটি স্পিকারকে পাল্টা নিশানা করেছে তৃণমূলও। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য। তীব্র নিন্দা করছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এক জন মহিলা সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্যের জবাব বাংলার মা-বোনেরা ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটে দিয়ে দেবেন।”