আবেগের নাম একুশে জুলাই। ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা ইভেন্ট, শহিদ স্মরণ। সকাল থেকেই সরগরম গোটা চত্বর। ‘দিদি’ তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনতে রাত থেকে একটু একটু করে জমায়েত করতে শুরু করেছেন দলের কর্মী, সমর্থকরা। আমজনতার ভিড়ও কম নয়। ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের কোন সুর বেঁধে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা শুনতে আগ্রহী সকলে। এমন হাইভোল্টেজ সভার জন্য ধর্মতলা চত্বর-সহ গোটা কলকাতাই নিরাপত্তা বলয়ে মোড়া। রাস্তায় রাস্তায় পুলিশি টহল। যানবাহনও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে সকাল থেকে। একুশে জুলাই, তৃণমূলের শহিদ তর্পণের খুঁটিনাটি জানতে চোখ রাখুন লাইভ আপডেটে।
সকাল ১১.০২: ভিড় এড়াতে হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত।
সকাল ১০.৪৫: হাওড়া স্টেশনে দলীয় পতাকা হাতে কর্মী, সমর্থকদের বিশাল মিছিল। গন্তব্য ধর্মতলা, তৃণমূলের একুশ জুলাইয়ের মঞ্চ।
সকাল ১০.২২: সকালে যশোর রোডে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর জেরে তীব্র যানজট। দুর্ঘটনার প্রতিবাদে অবরোধ, আটকে পড়ল ধর্মতলামুখী তৃণমূল কর্মীদের বাস।
সকাল ১০.০৩: হাওড়া থেকে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা হুগলির সেলেব সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জনতার ভিড় দেখে আপ্লুত তিনি।
সকাল ৯.৫৪: দুর্গা সেজে খড়গপুর থেকে ধর্মতলামুখী এক সমর্থক। তাঁর সঙ্গে পা মেলানো মহিলা সমর্থকদের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ।
সকাল ৯.৪৫: হরিণঘাটার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় মোট ৫০ টি গাড়ি করে হাজার হাজার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী রওনা দিলেন কলকাতার ধর্মতলায় শহিদ দিবসের সভায় যোগ দেওয়ার উদ্দেশে। নেতৃত্বে রয়েছেন হরিণঘাটা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি উত্তম সাহা ও হরিণঘাটা পুরসভার পুরপ্রধান দেবাশিস বসু-সহ উপপুরপ্রধান সঞ্জীব রাম।
সকাল ৯.৩০: ১৯৯৩সালের ২১ জুলাই গণতন্ত্র আদায়ের দাবিতে কারা শহিদ হয়েছিলেন? ১৩ জনের নাম প্রকাশ করে শহিদ তর্পণ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সকাল ৯.০৩: আসানসোল পৌর নিগমের বরো চেয়ারম্যান ডাক্তার দেবাশিস সরকার নিজেই বাস চালিয়ে সমর্থকদের নিয়ে গেলেন ধর্মতলায়।
সকাল ৮.৫৯: গঙ্গাসাগর থেকে ধর্মতলা রওনা দিলেন কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী, সমর্থক। দক্ষিণ ২৪ পরগনর কচুবেড়িয়া ভেসেল ঘাট থেকে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা-সহ কয়েক হাজার কর্মী, সমর্থকরা ভেসেল করে জলপথে রওনা দিয়েছেন। সকলের সঙ্গে দলীয় পতাকা।
সকাল ৮.৫০: পুলিশকে দেওয়া কলকাতা হাই কোর্টের শর্ত অনুযায়ী, সকাল ৯টার পর ধর্মতলামুখী কোনও মিছিল ছাড়া হবে না। তার আগে পর্যন্ত সমস্ত জেলা থেকে আসা কর্মী, সমর্থকদের মিছিল পৌঁছে দিতে হবে সভাস্থলে। তবে সকাল থেকে ভিড়ের যা চিত্র, তাতে এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা পুলিশের পক্ষে কতটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
সকাল ৮.৩৬: ধর্মতলায় তৃণমূলের মেগা ইভেন্ট ঘিরে কলকাতার পথে কড়া পুলিশি প্রহরা, নিয়ন্ত্রিত যানচলাচল। একনজরে দেখে নিন, কোন কোন পথ আজ এড়িয়ে যাবেন ?
সকাল ৮.২৩: একুশের সমাবেশে যোগ দিতে সল্টলেকের করুণাময়ী মেলার মাঠে ছিলেন উত্তরবঙ্গ থেকে আসা তৃণমূল কর্মীরা। সকাল হতেই একে একে বাস রওনা দিচ্ছে তাঁদের হয়ে।
সকাল ৭.৩৭: কল্যাণী থেকে কলকাতায় তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। চাকদহ থেকে জগন্নাথদেবকে কোলে নিয়ে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা।
সকাল ৭.২০: জেলার সব পথ আজ ধর্মতলামুখী। ভোরের লোকাল ট্রেনে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের ভিড়। দ্রুত সকলে পৌঁছতে চান তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সভামঞ্চে।