প্রয়াত বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আবু হেনা, শোকস্তব্ধ অধীর
প্রতিদিন | ২১ জুলাই ২০২৫
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা আবু হেনা। তিনি মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ছিলেন। রবিবার রাতে সল্টলেকে নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। সোমবার তাঁর দেহ কলকাতা থেকে লালগোলায় নিয়ে যাওয়ার কথা।
দুঃসংবাদ জানিয়ে সোশাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি লেখেন, “ভাবতে কষ্ট হচ্ছে ? আমাদের প্রিয় হেনাদা, আবু হেনা সাহেব আর নেই। গত সপ্তাহেই কলকাতায় দেখা করে এলাম…। আশা করেছিলাম, আবার মুর্শিদাবাদে ফিরে আসবেন, আমাদের মধ্যেই থাকবেন — আগের মতোই শক্ত হাতে পথ দেখাবেন। কিন্তু সেই দেখা যে শেষ দেখা হবে, তা কল্পনাও করিনি। দীর্ঘ পথ চলেছি আমরা একসাথে। কত লড়াই, কত প্রতিকূলতা একসাথে পেরিয়ে এসেছি। অনেক ভালো সময়ের সাক্ষী থেকেছি, আবার অনেক খারাপ সময়েও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থেকেছি। সেই প্রতিটি মুহূর্ত যেন চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আর এই কঠিন মুহূর্তে এই প্রথমবার দেখছি, হেনাদা পাশে নেই। তিনি কেবল প্রাক্তন মন্ত্রী বা জেলা কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন না। তিনি ছিলেন আমার সহযোদ্ধা এবং হৃদয়ের আপনজন। তাঁর আদর্শ ও মতাদর্শের প্রতি দায়বদ্ধতা আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। তাঁর জীবনের সততা ও নিষ্ঠা শিক্ষার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। পরম করুণাময় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি।
হেনাদা যেন জান্নাতবাসী হন। তাঁর পরিবার-পরিজন এবং সমস্ত শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল। আমরা তাঁর স্মৃতি ও আদর্শ বহন করেই লড়াই চালিয়ে যাব ? সেটাই হবে আমাদের তরফ থেকে তাঁর প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা।”
উল্লেখ্য, আবু হেনা পেশায় আইনজীবী ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ১৯৯১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত লালগোলার কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন। ২০১১ সালে প্রথমবার মন্ত্রী হন। ২০২১ সালে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার পরাজিত হন। বর্ষীয়ান রাজনীতিকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা রাজনৈতিক মহল।