• তীব্র গরমে একুশের সভার মাঝে অসুস্থ শতাব্দী, মদন, শত্রুঘ্ন, কীর্তি আজাদ
    প্রতিদিন | ২১ জুলাই ২০২৫
  • ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ধর্মতলায় তৃণমূলের মেগা ইভেন্টে বিপত্তি। তীব্র রোদ আর গরমের জেরে সভার মাঝে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লেন দলের চার জনপ্রতিনিধি। অসুস্থ হয়ে পড়েন সেলেব সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, কীর্তি আজাদ, শতাব্দী রায় এবং বিধায়ক মদন মিত্র। অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে তাঁদের তড়িঘড়ি সভামঞ্চ থেকে  বের করে নিয়ে যাওয়া হল। প্রাথমিক  চিকিৎসার জন্য  নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী এসএসকেএম হাসপাতালে। আপাতত তাঁরা স্থিতিশীল বলে খবর। অসুস্থ দলের সদস্যদের খোঁজখবর নিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    একুশে জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবস দলের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বের। আর তাকে গুরুত্ব দিয়ে যে যেখানে থাকেন, সকলেই ধর্মতলার এই মঞ্চে যোগদান করতে চলে আসেন। এ তো স্রেফ দলের মেগা কর্মসূচিই নয়, তৃণমূলের কাছে এটা আবেগের বিষয়। তাছাড়া এই  মঞ্চ থেকে আগামী দিনে লড়াইয়ের দিকনির্দেশ করে থাকেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই একুশের সমাবেশ নানাদিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ দলের প্রত্যেক নেতা, কর্মী, সমর্থকের কাছে।

    এবছর শহিদ দিবস উদযাপনের আগে শোনা গিয়েছিল, বীরভূমের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায় একটু অসুস্থ। তা সত্ত্বেও সোমবার সকালে ধর্মতলায় হাসিমুখেই তাঁকে দেখা গেল। বোঝা গেল, সুস্থ হয়ে তিনি এসেছেন। কিন্তু এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পর যখন সভা শেষের দিকে, সেসময়ই হঠাৎ অসুস্থ বোধ করতে থাকে শতাব্দী, মদন মিত্র, কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিনহারা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের মঞ্চ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রতি বছরই মঞ্চের কাছাকাছি মেডিক্যাল ক্যাম্প থাকে। এবারও ছিল। তবে সাংসদদের সোজা নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর জানা যায়, প্রবল রোদ আর গরমের জেরেই এই অসুস্থতা, উদ্বেগের তেমন কিছু নেই। আরও জানা গিয়েছে, মদন মিত্র এখনও হাসপাতালে ভর্তি। শতাব্দী, কীর্তি এবং শত্রুঘ্ন ? তিনজনই নিজেদের গাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। 

    আসলে অন্যান্য সময় ২১ জুলাই দিনটিতে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টিতে ভিজেই সমাবেশে অংশ নেন কর্মী, সমর্থকরা। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বৃষ্টিভেজা হয়ে বক্তব্য রাখেন। কিন্তু এবছর একটু ব্যতিক্রম। বৃষ্টিই হয়নি এবার। উলটে তীব্র রোদ ও গরম। আর সেই কারণে কারও কারও অসুস্থ হয়ে পড়া স্বাভাবিক।
  • Link to this news (প্রতিদিন)