তৃণমূলের শহিদ দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের মূল নিশানা ছিল ভোটার তালিকা সংশোধন ও ভিন রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থা। সেই সূত্রে উঠে আসে রোহিঙ্গাদের কথা। তৃণমূলনেত্রী মমতার আক্রমণের নিশানায় বিজেপির পাশাপাশি ছিল নির্বাচন কমিশনও। সেই প্রসঙ্গ টেনেই এই দিন শুভেন্দুকে বলতে শোনা গেল, ‘ওঁরা সোজাসুজি নির্বাচন কমিশন, ভারতীয় সংবিধানকে আক্রমণ করছে। ওঁদের দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া উচিত।’
ধর্মতলার মঞ্চ থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মমতার কটাক্ষ ছিল, ‘বিজেপির এক নেতার কথায়, বাংলায় নাকি ১৭ লক্ষ রোহিঙ্গা আছে। কিন্তু সারা পৃথিবীতে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা কত? ইউনাইটেড নেশনস বলছে মোট দশ লক্ষ রোহিঙ্গা আছে। তাহলে কোথায় পেলেন ১৭ লক্ষ?’ শুভেন্দু এর পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন বাঙালি মুসলমান ভোটারের সংখ্যার কথা। তাঁর কথায়, ‘রোহিঙ্গা মুসলমান এবং বাংলাদেশি মুসলমানদের একজনের নামও ভোটার তালিকায় থাকবে না। মোট ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার অবৈধ ভোটার পাওয়া গিয়েছে। কমিশনকে সেই কথা জানানো হয়েছে। রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি মুসলমানদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হলে তৃণমূলের জেতার কোনও সুযোগ নেই।’
প্রসঙ্গত, ২১ জুলাইয়ে কলকাতায় ধর্মতলার অনুষ্ঠানের পাল্টা কর্মসূচি আয়োজন করেন শুভেন্দু। উত্তরবঙ্গে উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শিলিগুড়ি তিনবাতি মোড়ে। বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা এই দিন এসে জড়ো হন। সেখান থেকে মিছিল করে দলটি ফুলবাড়ি চুনাভাটি ফুটবল মাঠে পৌঁছায়। উত্তরকন্যা অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশি নিরাপত্তা ছিল কড়া। সকাল থেকেই শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি থেকে উত্তরকন্যায় ঢোকার রাস্তায় ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। সভাস্থলের আশেপাশে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশবাহিনী।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার আসনগুলোতে বিজেপি জয়ী হলেও কোচবিহার হাতছাড়া হয়েছিল। মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে কায়দা করে হারানো হয়েছে বলে এই দিন দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই দিনের সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘২০২৪ এর ভোটে কী করে জিতেছেন আমরা জানি। নিশীথের সঙ্গে না পেরে ওকে কায়দা করে হারানো হয়েছে।’