• কালিম্পংয়ের পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে নয়া ওয়েবসাইট চালু
    বর্তমান | ২২ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: কীভাবে ঘুরবেন ইতিহাস সমৃদ্ধ কালিম্পং? কীভাবে হোম স্টে, হোটেল ও গাড়ি জোগাড় করবেন? এসব নিয়ে আর ভাবতে হবে না। এবার স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটারে এক ক্লিকেই পাবেন সংশ্লিষ্ট জেলার পর্যটন শিল্প সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। এজন্য সোমবার জিটিএ’র সহযোগিতায় নতুন ওয়েবসাইট চালু করেছে কালিম্পং ডিস্ট্রিক্ট ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। তাদের বক্তব্য, জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে প্রতারণা থেকেও রক্ষা পাবেন পর্যটকরা।

    আট বছর আগে দার্জিলিং জেলা ভেঙে গড়া হয় পৃথক কালিম্পং জেলা। তিস্তা নদী পাড়ে থাকা এই শৈল জেলার পাশেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভুটান, চীন এবং প্রতিবেশী রাজ্য সিকিম। এই জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। এবার সেগুলি নিয়ে একটি ওয়েবসাইট www.kalimpongtourism.org চালু করা হয়েছে। জিটিএ পর্যটন বিভাগের ফিল্ড ডিরেক্টর দাওয়া গেলপো শেরপা বলেন, ওই ওয়েবসাইটটি তৈরি করেছে কালিম্পং ডিস্ট্রিক্ট ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। এতে স্থানীয় হোম স্টে ও হোটেল মালিক, ট্যাক্সিচালকদের সুবিধা হবে। পর্যটকরাও উপকৃত হবেন। সংশ্লিষ্ট সাইট নিয়ে জিটিএ’র তরফে প্রচার চালানো হবে।

    ২০১৭ সালে জন্ম নেওয়া এই জেলায় অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম রয়েছে। ডেলোতে প্যারাগ্লাইডিং, তিস্তা বাজারে তিস্তা নদীতে চলে রিভার র‌্যাফটিং। এর বাইরে বেশকিছু বার্ড ওয়াচিং সেন্টার, গোরুবাথান, লাভা ও লোলেগাঁও প্রভৃতি আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে। অফবিট পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে গোরুবাথান ব্লকের ডালিমপোর্ট অন্যতম। এছাড়া, চা, অর্কিডের পাশাপাশি কফি চাষ হচ্ছে। উৎপাদন হচ্ছে মধু। সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি তামাম বিশ্বে তুলে ধরতেই উদ্যোগী হয়েছে কালিম্পং ডিস্ট্রিক্ট ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।

    সোসাইটির সম্পাদক নরদেন মাইকেল লেপচা বলেন, রাজ্যে প্রথম এই জেলাতেই হোমস্টে চালু হয়। বর্তমানে এখানে হাজারের বেশি হোম স্টে রয়েছে। এক বছর আগে হোম স্টে ও হোটেল মালিকরা সহ পর্যটন ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সোসাইটি গড়েন। এবার সোসাইটি প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে ওয়েবসাইটে প্রচার করছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন হোম স্টে ও হোটেল সম্পর্কে তথ্য সেখানে থাকছে। তাতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির ফোন নম্বর, গাড়ি চালকদের নাম ও ফোন নম্বরও থাকছে। সহজেই সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে হোম স্টে, হোটেল ও গাড়ি সম্পর্কে তথ্য নিতে পারবেন পর্যটকরা। এতে তাঁদের ব্যাপক সুবিধা হবে। হোটেল, হোম স্টে ও গাড়ি বুকিংয়ের ক্ষেত্রে পর্যটকরা প্রতারণা থেকে রেহাই পাবেন। স্থানীয় পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটবে। পর্যটন ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন। পুজোর মরশুমেই এর সুফল মিলবে বলে আশা করছি।
  • Link to this news (বর্তমান)