• গুরুগ্রামে বাংলাভাষী ছয় যুবককে এখনও ছাড়া হয়নি, হতাশ আত্মীয়রা
    বর্তমান | ২২ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: বিজেপি শাসিত হরিয়ানার গুরুগ্রামে থানায় আটক চাঁচলের ছয় পরিযায়ী শ্রমিককে ছাড়াতে সোমবার শ্রমদপ্তরে লিখিত আবেদন জানাল রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্যমঞ্চ। তিনদিন কেটে গেলেও সেখানকার পুলিস শ্রমিকদের ছাড়েনি বলে অভিযোগ। উপার্জনকারীদের ছাড়াতে বিপাকে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, পুলিসের তরফে পরিবারের সদস্যদের বলা হচ্ছে, শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। তবে প্রতিদিন থানা চত্বরে ঘোরাফেরা করেও আশার আলো দেখছেন না উদ্বিগ্ন পরিজনেরা। 

    শ্রমিকদের পরিজনদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে গুরুগ্রামে শোওয়ার ঘর থেকে ছয় জনকে তুলে নিয়ে যায় পুলিস। তাদের মধ্যে রয়েছেন চাঁচল থানার মুলাইবাড়ির আনেসুর রহমান ও তাঁর জামাই আলম আলি, কিশমতপুরের দুই ভাই নাজিমুল হক ও হবিবুর রহমান, শ্রীপতিপুরের নুর আলম ও বাকিপুরের মুকুল হোসেন। তাঁরা কেউ সেখানে গাড়ি ধোয়া, মোছা আবার কেউ সব্জি বিক্রি করে উপার্জন করছিলেন।

    পুলিস আটক করার পরেই আলম আলির স্ত্রী আনোয়ারা বিবি সহ অন্য শ্রমিকের আত্মীয়রা তাঁদের বৈধ পরিচয়পত্র ও নথি নিয়ে থানায় হাজির হন। অভিযোগ, তিনদিন ধরে নথি নিয়ে এক থানা থেকে আরেক থানায় দৌড়ঝাঁপ করতে হচ্ছে। পুলিস শ্রমিকদের আত্মীয়দের প্রতিবারই একই কথা বলছে, কয়েক ঘণ্টা বাদেই ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তিনদিন কেটে গেলেও সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ছাড়া হয়নি। 

    অভিযোগ, বাংলাভাষী হওয়ার কারণেই শ্রমিকদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেনস্তা করছে পুলিস। আনোয়ারা বলেন, স্বামীর বৈধ সচিত্র পরিচয়পত্র দেখানো হলেও আমাদের কথা শুনছে না। যা টাকা ছিল সব শেষ হতে চলেছে। কী করব, দুশ্চিন্তায় রয়েছি। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ শ্রমদপ্তরের হস্তক্ষেপ চেয়েছে। 

    মঞ্চের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক আসিফ ফারুক বলেন, ভিনরাজ্যে এখন পুলিসের টার্গেট বাংলাভাষী শ্রমিকরাই। তাঁদের দেখলেই আটকানো হচ্ছে। আমরা শ্রমদপ্তরের কাছে অনুরোধ করেছি, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে। এপ্রসঙ্গে চাঁচল মহকুমা শ্রমদপ্তরের সহকারী কমিশনার নৌশাদ আলি বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)