• ভাইস চেয়ারম্যানও ডাকল না অনাস্থা প্রস্তাবের বৈঠক, কৃষ্ণনগর পুরসভায় জটিলতা অব্যাহত
    বর্তমান | ২২ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: ভাইস চেয়ারম্যানের পর এবার অনাস্থা প্রস্তাবের সভা ডাকার জন্য তিনজন কাউন্সিলারকে চিঠি দিল ১২ জন কাউন্সিলার। সোমবার সেই চিঠি দেওয়া হয়। যা নিয়ে ফের শহরের রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে। নিয়মানুযায়ী, আগামী সাতদিনের মধ্যে ওই তিনজন কাউন্সিলারকে সভা ডাকতে হবে।‌ যদিও শেষপর্যন্ত সেই সভা হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে দলের অন্দরেই। কারণ এর আগে চেয়ারপার্সন ও ভাইস চেয়ারম্যানের তরফ থেকে ডাকা সভা বাতিল হয়েছে। যার ফলে কৃষ্ণনগর পুরসভায় শাসকদলের অন্তর্কলহ নিয়ে জটিলতা অব্যহত। 

    জানা গিয়েছে, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলার মলয় দত্ত, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলার শিশির কর্মকার এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলার সৌগত কৃষ্ণদেবকে চিঠি দিয়েছেন ১২ জন কাউন্সিলার। তার মধ্যে ০ জন তৃণমূলের, একজন নির্দল এবং একজন কংগ্রেসের কাউন্সিলার। 

    উল্লেখ্য, গত জুন মাসের ২৫ তারিখ কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন ১৫ জন কাউন্সিলার। প্রস্তাব আনার তালিকায় ছিলেন খোদ ভাইস চেয়ারম্যান নিজেও। নিয়ম অনুযায়ী, সেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ১৫ দিনের মাথায় বৈঠক করার কথা ছিল চেয়ারপার্সনের। কিন্তু সেই বৈঠক হয়নি। তারপর ১১ জুলাই, শহরের ১৪ জন কাউন্সিলার ভাইস চেয়ারম্যানের নরেশচন্দ্র দাসের কাছে চিঠি করেন সেই বৈঠক করার জন্য। কিন্তু সেই বৈঠকও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হয় না। কারণ ৭ দিনের মাথায় সেই বৈঠক করার কথা ভাইস চেয়ারম্যানের। গত ১৯ তারিখ সেই বৈঠক ডাকার সময়সীমা ফুরিয়েছে। তাই এবার তিনজন কাউন্সিলারকে চিঠি করে অনাস্থা নিয়ে সভা ডাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। তাতে আবার স্বাক্ষর করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান নরেশচন্দ্র দাস।  কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারপার্সন রীতা দাস বলেন, আমি একুশে জুলাই শহিদ স্মরণে ধর্মতলায় এসেছিলাম। সারাদিন সেখানেই ব্যস্ত ছিলাম। এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।‌ আমাদের দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি মাথা পেতে নেব।‌ কৃষ্ণনগর পুরসভার কংগ্রেসের বিরোধী কাউন্সিলার শান্তশ্রী সাহা বলেন, আমরা পুরসভার চেয়ারপার্সনের অনিয়ম ও স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। যার জন্য তিনজন কাউন্সিলারকে অনাস্থা প্রস্তাবের সভা ডাকতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই শহরের মানুষ নাগরিক পরিষেবা যেন ভালোভাবে পায়।  কাউন্সিলার মলয় দত্ত বলেন, ভাইস চেয়ারম্যানের ডাকা সভার সময়সীমা ফুরিয়ে গিয়েছে। এবার কাউন্সিলারদের একটা সভা ডাকার কথা রয়েছে। তবে সেই চিঠি এখনও আমি পাইনি। দিনভর একুশে জুলাইয়ের ধর্মতলায় ছিলাম। 
  • Link to this news (বর্তমান)