সংবাদদাতা, রামপুরহাট: রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ১৪নম্বর জাতীয় সড়কজুড়ে একাধিক জায়গায় ব্যারিকেড ও হাম্প থাকায় কমছে গাড়ির গতি। গতি নিয়ন্ত্রণ করে ওই সড়কে গাড়ি চালানোই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে চালকদের কাছে। বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। হাম্প ও ব্যারিকেড সরানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা।
রানিগঞ্জ থেকে মোড়গ্রামের দূরত্ব প্রায় ১৬০কিলোমিটার। বীরভূম জেলার দুবরাজপুর, সিউড়ি, মহম্মদবাজার, মল্লারপুর, রামপুরহাট ও নলহাটির উপর দিয়ে যাওয়া এই রাস্তা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে মিশেছে। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই সড়ক। স্থানীয় ও দূরপাল্লার বহু বাস এবং পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে। অথচ সেই জাতীয় সড়কেই রাস্তায় কিছুটা দূর অন্তর গার্ডরেল দিয়ে রেখেছে পুলিস। কোথাও আবার হাম্প করা হয়েছে। এতে গতি কমছে গাড়ির। মাঝেমধ্যেই ব্যারিকেড থাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে যানবাহন। আসলে গতি বাড়িয়ে এসে আচমকা হাম্পে বাইক, বাস ও অন্য যানবাহন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। আবার কখনও জোরে চালিয়ে এসে হঠাৎ সড়কের উপরে হাম্প দেখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারছে গাড়ি। এতে জখমও হচ্ছেন অনেকে। রবিবার তারাপীঠ থেকে একটি চারচাকা গাড়ি নিয়ে শিলিগুড়ি ফিরছিলেন চালক সহ পাঁচজন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্যারিকেডে ধাক্কা মারে গাড়িটি। তাতে পাঁচজনই জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যালে ভর্তি করেন। মালদহগামী একটি পণ্যবাহী লরির চালক সাদেকুল রহমান বলেন, এই সড়কে কোনও পথবাতি নেই। একটি নির্দিষ্ট গতিবেগে গাড়ি চালিয়ে আসার পর হঠাৎ হাম্প বা ব্যারিকেড থাকার ফলে অনেক সময় গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। সাবধান না হলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এক বাইক চালক বলেন, জাতীয় সড়কে হাম্প, গার্ডরেল দিয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এতে আরও দুর্ঘটনা ঘটবে। এর থেকে ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করলেই তো হয়। রামপুরহাট মহকুমার জাতীয় সড়কের দেখভালের দায়িত্বে থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দেবাঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, পুলিসের কাছ থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ‘ব্ল্যাক স্পট’গুলিতে গাড়ির গতি কমানোর জন্য হাম্প দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় সড়কে কোনও স্বল্পগতির যান চলাচলে অনুমতি নেই। একমাত্র ফোর লেন হলেই দুর্ঘটনা কমবে। নলহাটির কাছে জাতীয় সড়কে যান নিয়ন্ত্রণে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র