• সভা শেষে রাস্তায় ৭৫০ পুরকর্মী, এক ঘণ্টার মধ্যেই ধর্মতলার আবর্জনা সাফ
    বর্তমান | ২২ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জনসভা শেষের এক ঘণ্টার মধ্যে রীতিমতো সাফসুতরো হয়ে উঠল ধর্মতলা চত্বর। আর সভা শেষ হওয়ার ৪৫ মিনিটের মধ্যে ধর্মতলার রাস্তাগুলিতে স্বাভাবিক করে দেওয়া হল যান চলাচল। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের পর এই ছবি চমকে দিয়েছে সবাইকে। 

    সকাল থেকে ধর্মতলার প্রায় সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে পানীয় জলের গ্লাস-খাবারের প্যাকেট। বিরিয়ানির প্লেট ইত্যাদি নানা ধরনের আবর্জনা। সভা শেষের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে সে সব সাফ। পথঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে অন্যান্যদিনের মতো হয়ে গেল। শুধুমাত্র একুশের সভাস্থল নয়, শহরের যে রাস্তাগুলি দিয়ে মিছিল গিয়েছে সে সব অঞ্চলও দ্রুত সাফ করেছে কলকাতা পুরসভা। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বসানো হয়েছিল ক্যাম্প। কোথাও মেডিক্যাল ক্যাম্প, কোথাও জলসত্র বসানো হয়েছিল। প্রয়োজনীয় ওষুধ, ওআরএস দেওয়া হয়েছে। কোথাও তৃষ্ণার্তদের দেওয়া হয়েছে জল-বাতাসা। স্বাভাবিকভাবেই গ্লাস, প্যাকেট, ঠোঙা পড়ে সব রাস্তা নোংরা হয়েছে সকাল থেকে। কিন্তু সমাবেশ শেষেই দ্রুত রাস্তাঘাট সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়। ঝাঁটা, ইলেকট্রিক চালিত ছোট গাড়ি, হ্যান্ডকার্ট নিয়ে সাফাই অভিযানে নামেন পুরকর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে হাত মেলায় তৃণমূলের স্বেচ্ছাসেবকরা। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এ কাজে নেতৃত্ব দেন।

    পুরসভার জঞ্জাল সাফাই এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন প্রায় ৭৫০ সাফাইকর্মী শহরজুড়ে মোতায়ন ছিলেন। শেষপর্যন্ত ধর্মতলায় কাজ তদারকি করেন মেয়র। গ্র্যান্ড হোটেল, মেট্রো স্টেশন, কে সি দাস মোড়, লেলিন সরণি সহ গোটা চত্বর ঘুরে সাফাই কাজ তদারকি করেন কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল সাফাই ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার। অন্যদিকে পুরসভার সামনে এস এন ব্যানার্জি রোডে দাঁড়িয়ে কাজ পরিচালনা করেন পুরসভার বস্তি, হেরিটেজ ও পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জঞ্জাল দ্রুত সাফ করতে ব্যবহার হয়েছে পাঁচটি মেকানিক্যাল সুইপার, একাধিক হ্যান্ড কার্ট মেশিন, ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার, ৭০টি ছোট আকারের ব্যাটারিচালিত গাড়ি, ২৫টি অটো ডিপার, ২৩টি মুভেবল কম্প্যাক্টর। সমাবেশের আগেই ধর্মতলায় রাস্তার ধারে বসানো হয়েছিল বড় আকারের ডাস্টবিন। 

    রাস্তা সাফ হয়ে যাওয়ার পর কলকাতা ট্রাফিক পুলিস যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পথে নামে। ধর্মতলা চত্বরে বাঁশের ব্যারিকেড খুলে বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি চলাচল শুরু করে দেয়। দেবব্রত মজুমদার বলেন, পুরসভা প্রতিবারের মতো এবারও প্রস্তুত ছিল। বিপুল সংখ্যক কর্মী রাস্তায় নামানো হয়েছিল। ধর্মতলা কিংবা ময়দান শুধু নয় আশপাশের সব এলাকা পরিষ্কার করা হয়েছে। ছোট ব্যাটারিচালিত গাড়ি বা হ্যান্ডকার্টের মাধ্যমে প্রথমে আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়। তারপর কম্প্যাক্টরে সেগুলি ঢোকানো হয়েছে। সবমিলিয়ে কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)