রাহুল চক্রবর্তী, কলকাতা: বাংলার সম্মান রক্ষায় জবাব এবার বাংলাতেও। আর সেই জবাব বাংলা বিরোধীরা পাবে সংসদের অন্দরেও। একুশের মঞ্চ থেকে এই হুঙ্কারই শোনা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, আক্রমণের ঝাঁঝ এমন পর্যায়ে যাবে যে, বাংলার কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হবে ডাবল ইঞ্জিনের ষড়যন্ত্রীরা। প্রয়োজনে আন্দোলন হবে দিল্লি পর্যন্ত। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের প্রশ্ন, ‘কেউ বাংলায় কথা বললেই বিজেপির এত অস্বস্তি কেন?’ তারপরই তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘আমরা গর্ব করে বাংলায় কথা বলব। এই অধিবেশনেই আমাদের নিয়ম করে ফেলতে হবে—সংসদে বাংলাতেই কথা বলব। দেখি কে আমাদের আটকায়! আমরা বাংলার সন্তান, গুজরাত বা উত্তরপ্রদেশের নয়। তাই মাথা নত, বা মেরুদণ্ড বিক্রি করব না। আত্মসমর্পণ তো নয়ই।’
ঘটনাচক্রে সোমবারই শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। বাংলা ভাষার স্বার্থে সংসদে এবারের অধিবেশনে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের আওয়াজ সপ্তমে উঠবে, সেই ইঙ্গিত মিলেছে অভিষেকের কথাতেই। দৃপ্ত কণ্ঠে তাঁর ঘোষণা, ‘২০২১ সালের আগে বলতাম খেলা হবে। এবার বলছি, পদ্মফুল উপড়ে ফেলতে হবে। ২০২৬ সালের ভোটের পর বিজেপিকে দিয়েই জয় বাংলা বলিয়ে ছাড়ব।’ তৃণমূলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থাকে সম্বল করে সম্প্রতি অভিষেকের দাবি ছিল, বিজেপি ২০২৬ সালের ভোটে ৫০টি আসনও পাবে না। কিন্তু প্রতিদিন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। ভিন রাজ্যে বাংলায় কথা বললেই যেভাবে হেনস্তা হতে হচ্ছে, তাতে ক্ষোভ বাড়ছে বাঙালিদের। সেই ক্ষোভই আরও উস্কে দিয়েছেন অভিষেক। একুশের মঞ্চ থেকে তাঁর আহ্বান, ‘বিজেপিকে শূন্য করতে হবে।’
ইডি, ইনকাম ট্যাক্স সহ যাবতীয় কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়েও ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে বিজেপি ফায়দা তুলতে পারবে না—এই দাবি অভিষেকের। তাঁর বক্তব্য, ‘যে বিজেপি নেতারা এক সময় জয় শ্রীরাম বলতেন, এখন তাঁরা জয় মা দুর্গা, জয় মা কালী বলছেন। এটাই বাংলায় জয়। ২০২৬ সালে আমরা বিজেপিকে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনে পরাজিত করে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাব।’